বৃহস্পতিবার রাতেই স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা। আবহাওয়া দফতরের মতে ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১১০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তবে কোনও কোনও সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড় ডানা ওড়িশায় ল্যান্ডফল করলেও এই বাংলাতেও এর ভালো মতো প্রভাব পড়বে। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তৎপর ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারারাত নবান্নে থাকবেন। নবান্ন এবং জেলাগুলিতে আলাদা আলাদা হেল্পলাইন খোলা হয়েছে।
অপরদিকে রেলের তরফেও বাড়তি সতর্কতা মেনে শিয়ালদা ডিভিশনের দক্ষিণ শাখায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়া শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখাতেও বন্ধ রাখা হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতিল করা হচ্ছে প্রায় ৫৫০টি ট্রেন। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাতিল করেছে ১৫০টি ট্রেন। ইস্টকোস্ট রেল বাতিল করেছে ১৯৮টি। ২০০টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল বাতিল করেছে ১৪টি ট্রেন।
অপরদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি দিন গড়ে ৪০০ বিমান এবং ভুবনেশ্বর থেকে ১০০ বিমান ওঠানামা করে প্রতি দিন। ফলে এই দীর্ঘ সময় বিমানবন্দর বন্ধ থাকার ফলে ৩০০-র বেশি বিমান বাতিল করা হচ্ছে বলেই খবর। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিষেবা এবং যাত্রী হয়রানির বিষয়টি ভেবেই বিবৃতি জারি করে এক দিন আগেই বিমান বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে।
Discussion about this post