ফের বিতর্কে সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরনোর অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোট না দিলে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার, তালডাংরার বিবড়দাতে প্রচারে অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী। বিবড়দা হাইস্কুল ময়দান থেকে বাজার পর্যন্ত একটি মিছিল করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু আরজি কর সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সুর চড়ান। তিনি বলেন, ‘আসল দেওয়ালি সেদিন হবে, যেদিন সঞ্জয় রায়, সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলের মতো ব্যক্তিদের চরম শাস্তি দেবে ভারতের বিচারব্যবস্থা।’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতা এখনও বিচার পাননি। এই লড়াই চলবে, যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং তাঁর সরকারের যতক্ষণ শাস্তি হবে না, ততক্ষণ এই রাজ্যে সঠিক বিচার হবে না। এই মামলা অন্য রাজ্যে সরানোও জরুরি’। এরপরই এদিকে উপ নির্বাচনের প্রসঙ্গে বাংলাদেশের চট্টোগ্রামে হিন্দুদের ওপরে হামলার ঘটনার উল্লেখ করায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সেন্সর করার দাবি তুলল তৃণমূল। সোমবার সকালে কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে এই দাবি জানান তৃণমূলের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘৪০ মিনিটের ভাষণ সমাজের পক্ষে, আইনশৃঙ্খলার পক্ষে, সুস্থ সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকারক। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি এখানে সেন্সর করতে হবে।’ এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ”আমরা কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, শুভেন্দুকে সেন্সর করার জন্য। যদিও উপনির্বাচনের প্রচার আজ বিকেলেই শেষ। কিন্তু বিষয়টা শুধু একটা উপনির্বাচনের জন্য নয়। নানা সময়ে বিজেপির নেতারা এধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য করে থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, বাংলাকে অস্থির করে তোলা ধর্মের ভিত্তিতে। নইলে কেন অযথা বাংলাদেশের হিংসাত্মক পরিস্থিতির তুলনা টানা হচ্ছে? বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বেঘোরে হারবে। তাই এসব বলছে। আমাদের দাবি, বিরোধী দলনেতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে।”
সাম্প্রতিক অতীতে গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দেওয়া আর জি কর কাণ্ডে নতুন মোড়। কলকাতার এই নামী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরই...
Read more
Discussion about this post