বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ইডির মতে, সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ইডি বাংলাদেশি নাগরিকদের কথিত অবৈধ অনুপ্রবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ পাচারের তদন্তের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। উভয় প্রতিবেশী রাজ্যের মোট ১৭টি জায়গায় তদন্তকারী সংস্থার ঝাড়খণ্ড অফিস অভিযান চালাচ্ছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে এবার বিজেপির অন্যতম ইস্যু অনুপ্রবেশ। বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডে থাকছে। জনজাতি পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করছে। সেই অভিযোগ তুলছে বিজেপি। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত এই অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রচারে। আর তারপর দিনই এই ইডির হানা। ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা, কোলহান এলাকার জনবসতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সেখানে লক্ষ্যণীয় ভাবে বেড়ে গিয়েছে জনসংখ্যা। বহু মানুষ ওই সব জায়গায় বাস করছেন। অনুপ্রবেশের ফলে সেখানে এই জনঘনত্ব বাড়ছে। ঝাড়খণ্ডের সরকার এই বিষয়টিকে মান্যতা দিচ্ছে। এই অভিযোগও ভোটবাজারে উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসেই পিএমএলএ-র অধীনে মামলা রুজু করে এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের পাচার করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে আসা হচ্ছিল। জানা যায়, এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই অভিযোগকারী নিজে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে বেআইনি ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। পরে তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে স্থানীয় এক রিজর্টে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। পরে সেই অভিযোগকারী অনুপ্রেশকারী ৫-৬ জন মহিলাদের নামও লে তদন্তকারীদের। তাঁদের কাছ থেকে আবার একটি ‘ভুয়ো’ আধার কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
Discussion about this post