ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আর ব়্যাগিং নয়, কাঠগড়ায় অধ্যাপক। পরীক্ষার খাতায় বেনিয়মের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খাতা না দেখে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ। সাংবাদিকতা বিভাগে এই অভিযোগ ওঠে। খাতা রিভিউ করার সময়ে এই ঘটনা সামনে আসে বলে জানা গিয়েছে। যদিও যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোটা বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। ছাত্ররা সোমবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের সঙ্গে তাঁর অফিসে দেখা করেন। সেখানেই তারা এ বিষয়টি জানতে পারেন। জানা যায়, পড়ুয়ারা জুলাই মাসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই বছরের অগস্টে ফল বেরোয়। তবে নম্বর নিয়ে ক্ষোভ ছিল পড়ুয়াদের। তাই খাতা রিভিউ করা হয়। তাতেই দেখা যায় ৫০ টি খাতায় নম্বরে গরমিল রয়েছে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্র বলেন, “বহুদিন ধরে রেজাল্ট প্রকাশ হচ্ছিল না । অবশেষে রেজাল্ট জানা যায় ৷ তবে তা প্রকাশিত হওয়ার পরই নম্বর নিয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয় । তাই রিভিউ করতে দেওয়া হয় ।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর পুনরায় বিবেচনা করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের শিক্ষক নিয়ে এসে উত্তরপত্র দেখা হয় ৷ এবারও তাই করা হয় ৷ তখনই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে খবর ৷ জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তারপর অগস্টে ফল বেরোলে দেখা যায় অনেকের নম্বর আশ্চর্যজনকভাবে কম এসেছে। এরপরই খাতা রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিলে আসল রহস্য সামনে আসে। দেখা যায় ৫০ জন পড়ুয়ার খাতায় গরমিল হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি, রাজনৈতিক পরিচয় জেনে অনেকের নম্বর খাতা না দেখেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও এসব অভিযোগ প্রথম থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তী। যদিও বিষয়টি নিয়ে সোমবারই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের সঙ্গে আলোচনায় বসে পড়ুয়ারা। উপাচার্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। অবিলম্বে এই সমস্যার বিহিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি পড়ুয়াদের।
রাজ্যে শীতের শুরু অর্থাৎ ডিসেম্বর মাস মানেই পর্যটকরা ভীড় জমায় সমুদ্র সৈকত দীঘা ও মন্দারমণিতে। আর এই ভরা পর্যটন মরশুমের...
Read more
Discussion about this post