রাজ্যে শীতের শুরু অর্থাৎ ডিসেম্বর মাস মানেই পর্যটকরা ভীড় জমায় সমুদ্র সৈকত দীঘা ও মন্দারমণিতে। আর এই ভরা পর্যটন মরশুমের আগেই কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে মন্দারমনির হোটেল ব্যবসায়ীদের কপালে।
বুধবারের মধ্যে মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলার জন্য চিঠি দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে এই চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
এই চিঠি পেতেই হোটেল ব্যবসায়ীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২০ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষজন। সিআরজেড এর নির্দেশ অমান্য করে মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে ওই সব হোটেল অবৈধ নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে পরিবেশ আদালতের তরফে।
এর আগেও ২০২২ সালে প্রশাসনকে মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। হোটেলের সংখ্যা বেড়ে ২৬৫টি হয়েছে। এখন আরও নতুন হোটেল তৈরি হচ্ছে।’
এছাড়াও গত এক দশকে মন্দারমণির ৪টি মৌজায় ১৩ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে হোটেলের সংখ্যা ৪০ থেকে বেড়ে এখন ২৬৫–তে এসে দাঁড়িয়েছে।
যদি হোটেল মালিকরা পরিবেশ আদালতের নির্দেশ বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেরা হোটেল না ভেঙে দেন তা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকের চিঠিতে।
Discussion about this post