বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের হিড়িক নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে বাংলাদেশিরা একাধিক ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন যখন আসে উচ্চমানের পণ্য বা স্টাইল তখন ভারতই শেষ ভরসা বাংলাদেশের কাছে। রিপোর্ট বলছে, চরম বিপদের মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ। সেখানে পাঁচ বছরে শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই তীব্র খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সে দেশের শিশুরা পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতি ৩ জন শিশুর মধ্যে ২ জনই সুষম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি। এর ফলে শিশুদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পরছে। সমস্যা তৈরি হচ্ছে প্রারম্ভিক বিকাশে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, শৈশবকালে পর্যাপ্ত সুষম খাবারের ঘাটতি শিশুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর বিশেষ প্রভাব দেখা যায় শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের ক্ষেত্রে। এর পরিণাম সারাজীবনের জন্য স্থায়ী হতে পারে। তারা জানিয়েছে, শৈশবে ভালো পুষ্টি থেকে বঞ্চিত শিশুরা স্কুলে কম ভালো ফল করে, কর্মজীবনে কম উপার্জন করে। সেই সঙ্গে দারিদ্র্য এবং বঞ্চনার চক্রে আটকে থাকে তারা। যেসব শিশু নিয়মিত ওই পাঁচ ধরনের খাবার খেতে পারে না, তাঁদের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হবার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেশি থাকে। নানা রকম অপুষ্টিজনিত রোগের শিকার হয় এই শিশুরা। শুধু তাই নয়, বদলের বাংলাদেশে খাদ্য যোগান বাড়াতে তত্পর অন্তর্বর্তী সরকার। ওপেন টেন্ডার পদ্ধতিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হল। খরচ হবে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য ৫ টেন্ডার জমা পড়ে। সবকটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরির দিকে রেসপনসিভ হয়। শেষে টিইসি-র সুপারিশ মেনে রেসপনসিভ সর্বনিম্ম দর দিয়েছিল যে সংস্থা, সেই মেসার্স এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেড থেকেই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেট্রিক টন প্রতি ৪৭১.৬০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে খরচ হবে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা। যদিও বাংলাদেশ জানাচ্ছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চাল আমদানিকারক বলেছেন, সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে এবং গত দুই মৌসুমে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তাই ভারত চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। ভারত সরকার বাসমতি ছাড়া অন্য জাতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাখাওয়াত হোসেন এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছি না। এখন পর্যন্ত আমাদের পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং গত দুই মৌসুমে উৎপাদনও ভালো হয়েছে।’ তবে প্রশ্ন উঠছে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে? জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ঘোষণা করেছে, বিশ্বে খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ফিলিপাইনের পর বাংলাদেশের অবস্থান। জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় বিশ্বের অষ্টম বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশ বড় জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। লুক্সেমবার্গ ও সিঙ্গাপুরের মতো সিটি স্টেটকে বাদ দিলে। তাই মনে হতে পারে, এ খবরের মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। যদিও ভারতের তরফে...
Read more
Discussion about this post