উত্তাল পদ্মাপার গণঅভ্যুত্থানের পর, দ্বিতীয় দফায় ফের অশান্ত বাংলাদেশ। সন্ন্যাসী গ্রেপ্তার থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, ধরপাকড়, একাধিক ইস্যুতে দিনে দিনে বাড়ছে বিবাদ। এর মাঝেই এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়িয়ে ঢুকছেন পড়ুয়ারা। তারপর থেকেই একে একে গর্জে ওঠেন বহু মানুষ। পড়শি দেশে, বন্ধু দেশে, নিজেদের দেশের পতাকা নিয়ে এ কেমন আচরণ। রাগ-ক্ষোভের প্রকাশ চতুর্দিকে। বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও হিন্দু নির্যাতনের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তার মধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এমন অবস্থায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে গর্জে ওঠার আহ্বান জানালেন শেখ হাসিনা। পাঁচদিনের মাথায় ইউনুস সরকারের চারমাস বয়স হতে চলেছে। এমন সময় দেশবাসীর উদ্দেশে হাসিনার এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দেশবাসীর উদ্দেশে হাসিনা বলেছেন, যিনি যেভাবে পারেন প্রতিবাদ করুন। তবে আইন হাতে তুলে নেবেন না। যা করার আইনি পথে করুন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, অনেক হয়েছে। এবার প্রতিবাদ করার সময় এসেছে। ইউনুস সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, ‘দেশে এখন ক্রিমিনালরা জোট বেঁধেছে। যারা শুধু টাকা আর অস্ত্র চেনে।’ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইসকনকে সেদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে, যা খারিজ হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবারই। আর সেই আবহেই মুখ খুলেছেন হাসিনা। সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন হাসিনা। এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। হাসিনা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা করছি আমি। এই নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ী যাঁরা, তাঁদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার চরম ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তাঁকে যারা পিটিয়ে মারল, তারা সন্ত্রাসবাদীর তুলনায় কিছু কম নয়। তারা যে-ই হোক না কেন, শাস্তি দিতে হবে। ইউনূসের অসাংবিধানিক এই সরকার যদি দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাদের ঘাড়েও মানবাধিকার রক্ষা করতে না পারার দায় বর্তাবে’। সম্প্রতি দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সেনা সদস্যরা দেশের ক্রান্তিকালে দিনরাত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সামনে ডিফিকাল্ট সময় পার করে দেশ ও জাতিকে নিরাপদ জায়গায় আমরা নিয়ে যেতে চাই। সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতি এই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। দিনরাত সেনা সদস্যরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন কাজে আমরা নিয়োজিত আছি। ইউএন মিশনে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণেও কাজ করছি এবং আমরা পারদর্শিতা অর্জন করেছি। আমরা যেন দেশ ও জাতিকে একটা ভালো জায়গায় এবং নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, সে জন্য আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ পাশাপাশি সীমান্ত নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত সেনাপ্রধান। বাংলাদেশের ভারত বিরোধী মন্তব্য যে কোন সময় ভারতকে বাধ্য করবে বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ করতে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। এর আগেও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্ভুক্ত অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্পও করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। অরুণাচলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অরুণাচল টোয়েন্টি ফোর ও নিউজফাই সরেজমিন ঘুরে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানিয়ে ছিল। এই ঘটনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্যও দিয়েছেন অরুণাচলের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, অরুণাচলের অঞ্জো জেলায় নাকি চিনা সেনার ক্যাম্প দেখা গিয়েছে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
বাংলাদেশ, ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের যে কোনও গণতান্ত্রিক সরকারের স্থায়িত্ব বরাবরই ভঙ্গুর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা...
Read more
Discussion about this post