পুরীর ব্লু ফ্ল্যাগ বিচে গত ৪ ডিসেম্বর নৌসৈনা দিবস উদযাপনের হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ এবার নৌ-বাহিনীর সেই অনুষ্ঠানেই অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হলেছিলেন জগন্নাথ দেবও৷ অনুষ্ঠানটি নৌসৈনার শক্তি প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ওড়িশার ঐতিহ্যেরও প্রদর্শন হয় ৷ এই অনুষ্ঠানে রীতিমতো কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হল প্রভু জগন্নাথকে। নৌ-বাহিনীর ১৫ টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ, ২০টি বিমান এবং হেলিকপ্টার-সহ চারটি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই পুরী উপকূলে পৌঁছে গিয়েছে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৪০টি বিমান পৌঁছে যায় ৷ মূল ইভেন্টের মঞ্চে লেজার শো, নেভি ব্যান্ড কনসার্ট এবং মার্কোস কমান্ডো এবং প্যারাসুট দলের সামরিক অনুশীলনও থাকবে। তবে এখনো পুরীর সমুদ্র সৈকতে গেলেই দেখা যাচ্ছে যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান। সেগুলি দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভির। অন্তত ১৫ টি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করা রয়েছে পুরীর সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু কী জন্যে রয়েছে এতগুলো যুদ্ধজাহাজ? ১৫ টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ পুরী উপকূলে নোঙর করা রয়েছে। ১০ টিরও বেশি হেলিকপ্টার এবং ৫টি যুদ্ধবিমান বর্তমানে অনুশীলন চালাচ্ছে। এই অনুশীলন ইতিমধ্যেই হাজার হাজার দর্শককে আকর্ষণ করেছে। মূল ইভেন্টগুলিতে সাবমেরিন অপারেশন এবং মেরিন কমান্ডোদের প্রদর্শনের পাশাপাশি হক এজেটি বিমান এবং চেতক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এরিয়াল প্রদর্শন দেখানো হবে। ইভেন্টটি নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বায়ু সেনাকে জড়িত একটি ত্রি-পরিষেবা অভিযানও তুলে ধরবে।দেশের সামুদ্রিক সীমানা রক্ষায় ভারতীয় নৌসেনার কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর নৌবাহিনী দিবস পালিত হয়। এটি অপারেশন ট্রাইডেন্টের বার্ষিকীকে চিহ্নিত করে। ১৯৭১ সালে এই দিনে করাচি হারবারে আক্রমণ করে নৌসেনা যার ফলে পাকিস্তানের নৌ সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দেয়। জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই দিবসটির উৎসবের লক্ষ্য। পুরীতে বর্তমানে প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যেই ইস্টার্ন নেভাল কমান্ড পুরী সৈকতে এই উদযাপন দেখার জন্য দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।শ্রীমন্দির সুয়ার মহাসুয়ার নিয়োগের সম্পাদক নারায়ণ মহাসুয়ার এবিষয়ে বলেন, “রাষ্ট্রপতি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। কোনও সেবক মন্দিরের গর্ভগৃহে যেতে পারবেন না। তবে রাষ্ট্রপতির জন্য মহাপ্রসাদের প্রস্তুতির বিষয়ে আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও তথ্য পায়নি। কোনও নির্দেশ পেলে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা করব ৷” রাষ্ট্রপতির পরিদর্শনের পরে, ভক্তদের মন্দির দর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে বেশ কিছু যুদ্ধ লড়তে হয়েছে ভারতকে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। সেই সময়ে অপারেশন ত্রিশূল শুরু করা হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে। সেই যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর। চারটি পাক নৌযানকে ধ্বংস করেছিল তারা। সেই সাফল্যকেও স্মরণ করা হয় এই দিনে। দেশের সুরক্ষার জন্য যে সকল নৌসেনা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদেরও স্মরণ করা হয় নৌবাহিনী দিবসে।
এই মুহূর্তে ঠিক কি কি চলছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে? এই প্রশ্নের উত্তরে সঠিক জবাব পাওয়া খুব কঠিন। তবে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী...
Read more
Discussion about this post