নতুন সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে সেদেশ। তার উপরে মৌলবাদীরা মাথাব্যথা আরও বাড়াচ্ছে। তারা ক্রমাগত হিন্দুদের নিপীড়ন করছে এবং ভারত বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। মৌলবাদীদের প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে ইউনুস সরকারকে পঙ্গু মনে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, বাংলাদেশ ভারতের জন্য নতুন শত্রু হিসেবে উঠে আসছে। ভারত প্রতিটি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লি প্ল্যান ৩৬৫ ঘোষণা করেছে, যার ফলে বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলা ও পতাকা পোড়ানোর পর দিল্লিকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন ও ছাত্রদের সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছানোর কথা বলা হতো ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পতন হয়েছে সেই সম্পর্কের। এখনো পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মোটামুটি সচল। তবে বন্ধ ভিসা পরিষেবা। জনসাধারণ পর্যায়েও সম্পর্কের একটা বড় অবনতি হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভারত বিরোধী একটা অবস্থান এবং এর প্রকাশ দেখা গেছে। এদিকে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল্লির। একদিকে বাংলাদেশ ভারত দখলের হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পূর্বের সীমান্ত ঢেলে সাজাতে মহড়া বায়ুসেনার। দিল্লির বার্তা বুঝতে পারছে বাংলাদেশ? আবারও যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর পথে হাঁটছে ভারত তেমন বলেননি দিল্লি। তবে, ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। কেবল ভয় পাচ্ছে বললে বোধ হয় সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয় না। তারা আসলে ভয়ে কাঁটা। কৃত কর্মের ফল ভাল নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কি এবার ছদ্ম সাহস দেখাতে গিয়ে হুমকির পথে হাঁটছে ভারতের পূর্বের প্রতিবেশি, উঠছে প্রশ্ন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হলে পরিণতি ভাল হবে না, এমন আশঙ্কা থেকে এবার ভারতকে হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন ‘ইনকিলাব মঞ্চের’ আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে,”ভারত পাকিস্তানের মতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।” তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি ভারত বাংলাদেশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার জন্য তাঁদের সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে। শক্তি জোরদার করছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য। আমি ইনকিলাব মঞ্চ থেকে ভারতের কাছে অনুরোধ জানাই আল্লার ভাস্তে বাংলাদেশের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালান। আর যদি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় বিশ কোটির ছাত্র জনতা, ভারতের কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেবে।” বাংলাদেশ থেকে এমন মন্তব্য ভেসে এলেও, এ বিষয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত ব্যক্ত করেনি নর্থ ব্লক। তবে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যা চলছে তাতে খোদ বাংলাদেশিরাই যে প্রমাদ গুণছেন তা স্পষ্ট এমন আশঙ্কা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশের দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। অভিযোগ, নৈরাজ্যের প্রতিবেশী দেশে বেছে বেছে হিন্দুদের লক্ষ্য করে জোরতর আক্রমণ চলছে। এমনকি হিন্দুদের দোকান, বাড়িঘরে চলছে ভাঙচুর-লুঠপাট। সেই সঙ্গে মন্দিরেও ভাঙচুর চালাচ্ছে কট্টরবাদীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ‘শান্তি বাহিনী’ পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা কখনও বলা হয়নি ভারতের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি, ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এখন অনেকগুলি রাফাল যুদ্ধবিমান আছে। আর সেই রাফাল যুদ্ধবিমানের আওয়াজই বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট বলে দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি সেই মন্তব্য করেন। সেইসঙ্গে চরম কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমাদের হাসিমার বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার যে রাফাল বিমানগুলি রাখা আছে না, তার একটা যদি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, শুধু আওয়াজেই ওদের প্যান্টে বাথরুম হয়ে যাবে, আমি বলে গেলাম। ভারতের সামরিক শক্তি কত, সেটা রাশিয়া জানে, আমেরিকা জানে, চিন জানে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আর আলু না গেলে যাঁদের খাওয়া জোটে না।’
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post