বাংলাদেশের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি। দিনে দিনে তারা শক্তি বৃদ্ধি করছে। একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র নেওয়ার কথা ভাবচ্ছে তারা। ইতিমধ্যেই মায়ানমার সরকারের থে্কে এই বিদ্রোহী গোষ্টী অস্ত্র নিচ্ছে। তা অজানা নয় বাংলাদেশ সরকারের। চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তিত ইউনূস। এইবার তাদের সঙ্গে না পেরে উঠে মিশরের কাছে ছুটল বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এমনই চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এল।
বাংলাদেশ তৃতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে বলা যায় ভারতের দয়াতে স্বাধীন হয়েছিল। ২০২৪-এ তারা নির্বাচিত হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে তদারকি সরকার গঠন করে স্বাধীন হল। এরমধ্যেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে আঁতাত করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। যদিও চীনের সঙ্গে আঁতাত করতে গেলে চীন প্রায় প্রত্যাখান করে। আমেরিকার সঙ্গেও তারা খুব একটা সুবিধা পাবে তাও নয়। এইবার মিশরের কাছ থেকে সাহাষ্য চেয়ে বাঁচতে চাইছে বাংলাদেশ। এমনই সূত্র মারফৎ খবর।
এদিকে ভারত বিদ্বেষ করতে করতেই বাংলাদেশের একটি অংশ প্রায় আরাকান আর্মিদের দখলে চলে গেল। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, আরাকান আর্মির আতঙ্ক বাংলাদেশ তার নিজের ভুলেই ডেকে নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের ছাত্র নেতা মেহফুজ আলম একটি বাংলাদেশের ম্যাপ প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে ভারতের কিছুটা অংশ ওই ম্যাপের মধ্যে রাখেন। যদিও সেই পোস্টটি তিনি দু ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেন। কিন্তু সেখান থেকে নানা বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের তরফ থেকে আসা একাধিক মন্তব্য নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাবধান করে দিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। পাকিস্তানের সঙ্গে আঁতাত করতে চাইছে, সে দেশের সরকার, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পাকিস্তান অর্থনৈথিকভাবে দুর্বল তা অজানা নয় বাংলাদেশের তদারকি সরকারের। পাশাপাশি তালিবানি নিয়ে এখন জটিলতায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের একদিকে তালিবানি এবং অন্যদিকে বালুচিস্তান। ফলে পাকিস্তানের থেকে বিশেষ কোনও সাহাষ্য না পাওয়ায় ফলে মিশর ও থাইল্যান্ডের শরাণাপন্ন হয়েছে ইউনূস প্রশাসন। ছয় দেশের বৈঠকে ব্যাঙ্ককে পৌঁছে যান ইউনূস। বাংলাদেশের সূত্রের খবর, ইউনূস চাইছেন, আরাকান আর্মি সংক্রান্ত বিষযে উদ্যোগী হোক এই দেশগুলি। কিন্তু চীন তা চাইছে না। তার কারণ চীন চাইছে, আরাকান আর্মি সংক্রান্ত বিষযে শুধুমাত্র বৈঠকে থাকুক আরাকান আর্মি, মায়ানমারের জুন্টা সরকার এবং ভারত। অর্থাৎ বাংলাদেশ যে কোনও দেশ থেকেই সেভাবে সাহাষ্য পাচ্ছে না, তা কিন্তু একেবারেই স্পষ্ট। আরাকান থেকে বাঁচতে কার্যত বাংলাদেশ চাপে পড়়েছে তাও প্রায় প্রকাশ্যে। এখন দেখার, মিশরের থেকে কতটা সাহাষ্য পায় বাংলাদেশ বা আদেও সাহাষ্য পায় কিনা! প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম লাগোয়া অঞ্চলে আরাকান আর্মিরা। যত দিন যাচ্ছে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তারা। উন্নত অস্ত্র আমদানি করছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমার থেকে প্রচুর অস্ত্র নিচ্ছে আরাকান আর্মিরা। পাশাপাশি তারা একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র কেনার কথা ভাবচ্ছে। যা নিয়ে চরম বিপাকে বাংলাদেশের তদারকি সরকার।
Discussion about this post