দিনে দিনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হচ্ছে, তাতে হাসিনার শেষটার থেকেও আরও মারাত্মক হতে চলেছে ইউনূসের শেষটা। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটি বড় অংশ। কারণ আমেরিকা সরকারের তরফে বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে একটি বড় ধাক্কা। কী সেই ধাক্কা? বাংলাদেশের যে এয়ারফোর্স রয়েছে, সেই এয়ারফোর্সরা বহু পুরনো বিমান ব্যবহার করে। তারা ঠিক করেছিল এফ ১৬ নেবে আমেরিকা সরকারের থেকে। কিন্তু আমেরিকা সরকার পরিস্কার করে এফ ১৬-এর পরিকল্পনা কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে। ফলে নতুন করে চাপে পড়েছে ইউনূস সরকার।
বাংলাদেশে এখন যে সামরিক শক্তি রয়েছে, তা অনেকটাই দুর্বল। তাতে ভারতের সঙ্গে মোকাবিলা তো দূরের কথা, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্যের সঙ্গেও যুদ্ধ পেরে উঠতে পারবে না। অন্যদিকে দিনে দিনে সামরিক শক্তির দিক থেকে শক্তিশালী হচ্ছে ভারত। সেই ভারতকেই চটাচ্ছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু নির্যাতন পাশাপাশি ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির এই প্রতিক্রিয়া শুনে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপর টার্গেট কিলিং শুরু করেছে। হিন্দুদের উপর আরও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হচ্ছে মন্দির। আর এর মধ্যেই নিজেদের মতো করে গুটি সাজাচ্ছে ভারতও। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। এর প্রতিদ্বন্দ্বী হল এফ ৩৫ আমেরিকা। যা আমেরিকা-সহ ন্যাটোর গোষ্ঠীবদ্ধ দেশগুলি এই প্রযুক্তি সামনে এনেছে। এফ ৩৫ আমেরিকার সঙ্গে সুখোই ৫৭, যা রাশিয়া থেকে পেতে চলেছে ভারত, তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাচ্ছে… সুখোই ৫৭-এর রয়েছে ডবল ইঞ্জিন। যা এফ ৩৫ আমেরিকায় রয়েছে একটি ইঞ্জিন। এমনকি তথ্য বলছে সুখোই ভাসমান অবস্থায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ফাইট করতে পারে, যেটি এফ ৩৫ পারে সাড়ে তিন ঘন্টা। সুখোই ৫৭, ৩৫ হাজারেরও বেশি অস্ত্র বহণে সক্ষম। যেটি এফ ৩৫, ৩১ হাজার অস্ত্র বহণ করতে পারে। অর্থাৎ, বলাই বাহুল অনেক বেশি শক্তিশালী সুখোই ৫৭।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, সুখোই ৫৭ হল এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গেম চেঞ্জার। ভারত যেভাবে রণসজ্জায় সজ্জিত, তাতে বাংলাদেশের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের এত হুমকি, ইউনূস সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, ভারতকে বিপাকে ফেলার কৌশলে আদেও পরিবর্তন আসে কিনা। তার উপর আমেরিকার প্রত্যাখান ও পাকিস্তানের দুর্বল পরিস্থিতি, এই দুইয়ের চিন্তায় বাংলাদেশের তদারকি সরকার।
Discussion about this post