বাংলাদেশের সরগরম পরিস্থিতির আঁচ এসে পড়েছে ভারতেও। বিগত কয়েক মাসে ভারত বাংলাদেশ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ সেনা।
এবার আরও এক বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হল। মালদহ, কোচবিহারের পর এবার বালুরঘাট! সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল বিএসএফ আর কার্যত জোর করে কাজ বন্ধ করাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অর্থাৎ বিজিবি। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার শিবরামপুর সীমান্ত এলাকায়।
বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর এহেন কার্যকলাপে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনি ও বিপুল পরিমানে বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
অন্যদিকে মালদহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা জুড়ে রীতিমতো বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করছেন মালদহ সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সীমান্ত নিয়েও যথেষ্ট সতর্ক এবং তৎপর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
সূত্র বলছে, বর্তমানে ইউনুস সরকারের কড়া নির্দেশেই সীমান্ত ঘেরার কাজে বাঁধা দেয় বিজিবি । যে কারনে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাট নওদা সীমান্তে। তবে ভারতের সীমান্ত বাহিনী বাংলাদেশের এমন প্রবণতা এর আগে কখনও দেখেননি।
প্রশ্ন উঠছে, সে দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মদতে চলা বেআইনি অনুপ্রবেশ, গরু পাচার বন্ধ হয়ে যাবে আর সেই আশঙ্কা থেকেই ভারতের কাঁটা তারের বেড়া লাগাতে বাঁধা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষি বাহিনীর? জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে বালুরঘাট এলাকায় ভারত এবং বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকার প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় কাটাতারের বেড়া ঘেরার কাজ শুরু করে বিএসএফ জওয়ানরা।
ভারত এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। ওপারে দীর্ঘ সময় ধরে চলা টালমাটাল পরিস্থিতিতে সীমান্তে বাড়ছে অনুপ্রবেশ। এমনকি জঙ্গিরা ঢুকে ভারতের মাটিতে নাশকতা চালানোর ছক কষতে পারে বলেও আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কা থেকেই একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সীমান্ত এলাকা জুড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ করছে বিএসএফ। আর তাতেই মাথা ঘুরে গিয়েছে বিজিবির।
এরপরই তীব্র বাধা দেয় বিজিবি। কার্যত চাপ সৃষ্টি করে কাজ বন্ধ করে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সেনা জওয়ানরা। ঘটনাকে ঘিরে কিছুটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর রবিকান্ত বর্মন দাবি করেছেন , বাংলাদেশের পুর্বতন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সরকারের আমলের চুক্তি মানতে নারাজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সেই কারণেই এই কাজে বাঁধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা বলছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একেবারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে ভারতকে যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সাবধান এবং পরিস্থিতি বুঝে পা ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাক্তনরা।
Discussion about this post