আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ বলছেন মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সরকার চালাতে ব্যর্থ। তার কারণ তিনি বাংলাদেশের মসনদে বসেছেন বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও পররাষ্ট্র নীতি তিনি দেখাতে পারেননি। কোন দেশ কোন দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখবে, কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলবে, কোন দেশের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবে, এগুলি ঠিক করে প্রত্যেকটি দেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ তিন মাসে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি। নিজের দেশকে বিকিয়ে দিয়ে একমাত্র সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। এদিকে সেই সম্পর্ক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না। তার মধ্যে সামনে এল, সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশকে হজ যাত্রা থেকে বাতিল করার হুমকি। এর পিছনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ব্যর্থতায় চোখে পড়ছে।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। হজ কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে প্রত্যেকটি এজেন্সি পিছু ১০০০ জন মানুষ পাঠাতে হবে। এর ফলে বাংলাদেশে হজযাত্রার এজেন্সি গুলি বিপাকে পড়েছে। তারা জানায় গতবার যেটি ২৫০ জন ছিল, সেই সংখ্যাটি কিভাবে হাজার জন হল। জোগাড় করবে সেই নিয়ে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এজেন্সি গুলি সরকারের দারস্থ পর্যন্ত হয়েছে। এমনকি তারা সৌদি আরব কে চিঠি পর্যন্ত লেখে। কিন্তু একটি চিঠির উত্তর দেয়নি এখনো পর্যন্ত সৌদি আরব। বরং তারা জানিয়েছে, এই হজ যাত্রা থেকে সমগ্র বাংলাদেশকেই বাতিল করতে পারে তারা।
এদিকে আর মাত্র কয়েকটা দিন। চলতি মাসের ২০ তারিখে আমেরিকার মসনদে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে। তেমনটাই আভাস মিলছে গত কয়েক মাস ধরে। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, যবে থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ট্রাম্প পাকাপাকি ভাবে আমেরিকার ক্ষমতায় আসীন হলে চাপ বাড়বে ইউনূসের। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদীর সাহায্যে ফের বাংলাদেশে প্রত্যপর্ন করবে হাসিনা। তখন যে ইউনূসের দাদাগিরি শেষ হবে, তা তিনি নিজেও জানেন। তারপরও সম্প্রতি, বাংলাদেশের সেনা মহড়া দেখে ইউনুস একটি মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেন, প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। কোন শক্তিতে তিনি এই ধরনের মন্তব্য রাখছেন অথবা এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে সেটা একরকম ভাবে প্রমাণিত। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের মিত্র ভাব অবাক করেছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। যদিও পাকিস্তানের অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। একদিকে বালুচিস্তান, অপরদিকে তালিবানি আক্রমণ, সবমিলিয়ে সাঁড়াশি চাপে পাক সরকার।
তারমধ্যে সৌদি আরবের কাছে মুখ পড়ল ইউনূস সরকারের, তাদের আত্মসম্মান হানি হল তা কার্যত প্রমাণিত। পাশাপাশি এও প্রমাণিত, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি কতটা ভঙ্গুর, তাদের বিদেশ মন্ত্রণালয় কতটা ব্যর্থ! এখন দেখার কি করনীয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের!
Discussion about this post