অনেকেই বলছেন খুব তাড়াতাড়ি মহম্মদ ইউনূস দেশ ছাড়বেন। একটি খবর চাউর হয়েছে তিনি নাকি ২০ তারিখের আগেই দেশ ছাড়বেন। এই খবরগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতেই চোখে পড়ছে। তবে সেগুলি একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। এদিকে ১৯ তারিখ তার ইতালি যাওয়ার কথা। সঙ্গে যাবেন তার প্রেস সচিব। তবে সেখান থেকে তিনি আদেও দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে মোহাম্মদ ইউনুস গোটা দেশের চাপ যে তিনি নিতে পারছেন না। তা কার্যত স্পষ্ট। তার আমলেই বেড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ হওয়া জঙ্গি গোষ্ঠগুলি। আরও সক্রিয় হয়েছে বিএনপি। দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি বাইরে থেকেও চাপ আসছে সকারের উপর। তার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিস থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। কিছুদিন আগে অভিযোগ এসেছিল, বাংলাদেশে হিন্দুদের চাকরি থেকে বাতিল করা হচ্ছে। আর সেই নিয়ে টুইট করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিস থেকে। সেই টুইটের কমেন্ট বক্সে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। কেউ লিখেছেন, সত্যিই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশ। কেউ আবার লিখেছেন, পাস করার পরও তার স্বপ্নের চাকরি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে। অর্থাৎ মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের উপর করা নজরদারি চালাচ্ছে। ট্রাম ক্ষমতায় পাকাপাকিভাবে আসীন হলে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও একটি খবর উঠে আসছে, তা হল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ। তবে এখন দেখা যাক সেটা কতটা সত্যি হয়। এদিকে মাঝে আর মাত্র কটা দিন। তারপরই আমেরিকা পাবে নতুন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর ঠিক কি হতে চলেছে? সেটা নির্দিষ্ট করে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলতে না পারলেও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল হতে পারে, তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূসের এখন শোচনীয় অবস্থা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের ভিতরে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। এমনকি বিএনপি’র মত বাংলাদেশের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলও ইউনূসের বিপক্ষে কথা বলা শুরু করেছে। শুধু তাই নয়,
এদিকে জানা যাচ্ছে শেখ হাসিনা, ২০ শে জানুয়ারি ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে পাকাপাকিভাবে বসার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৯ শে জানুয়ারি। ওই দিনই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখবেন শেখ হাসিনা। তবে তার বার্তার জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থকরা পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু সাধারণ নাগরিক মুখিয়ে রয়েছেন। তবে কি মার্চের আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যপণ করবেন ? আর সেই কারণেই এখন থেকেই শুরু করে দিছেন বীজ বপন? বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে সে খবর আসতে শুরু করল পাকাপাকিভাবে স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ট্রাম্প পাকাপাকি ভাবে আমেরিকার ক্ষমতায় আসীন হলে চাপ বাড়বে ইউনূসের। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদীর সাহায্যে ফের বাংলাদেশে প্রত্যপর্ন করবে হাসিনা। তখন যে ইউনূসের দাদাগিরি শেষ হবে, তা তিনি নিজেও জানেন। এখন দেখার, কি পরিণতি হয় বাংলাদেশের!
Discussion about this post