ভারতকে চক্রান্তকারী সুবিধাভোগী বাংলাদেশ বিরোধী প্রমান করতে, দিন দিন নতুন নতুন ঘোষনা সামনে আনছে, বাংলাদেশের তদরকী সরকার। দেশের ভোট, দেশের অর্থনীতি সব জলাঞ্জলি দিয়ে এখন শুধু একটাই কাজ তদরকি সরকারের, সেটা হল ভারত বিদ্বেষ প্রচার করা। কথাই আছে না- যার শিল, যার নড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গড়া। ভারতের থেকে চাল চাই, পিয়াজ চাই, আলু চাই, ভিসা চাই, শিক্ষা চাই, শিল্প চাই-আবার ভারত বিদ্বেষী প্রচার করাও চাই। এখন নতুন ঘোষনা যুক্ত হয়েছে, সেটা হল- ভারত বাংলাদেশের গোপন চুক্তি। যেটি নাকি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। বিভিন্ন গ্রন্থের উল্লেখ করে বলা হচ্ছে। ভারত নাকি বাংলাদেশকে বাগে পেয়ে সাত দফা চুক্তি করেছিল, যার সবটাই ছিল বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থি। কিন্তু চুক্তিগুলি জানার পর, সেই চুক্তিগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। তবে চুক্তিগুলি কতটা ভুল আর কতটা ঠিক,তা প্রমান করার আগে, দেখে নিতে হবে চুক্তিগুলি কি কি। বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি করে বলা হচ্ছে, ভারত মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে যা যা সাহাজ্য করেছে, তা নাকি পরে,পরিশোধ করে দেওয়ার শর্তে। যারা এগুলি প্রচার করছেন-তাদের কাছে প্রশ্ন, তারা কি জানেন বাংলাদেশকে সাহায্য করতে গিয়ে, ভারতকে তৎকালীন বিশ্বের কোন কোন মহাশক্তির শত্রুতার মুখে পড়তে হয়েছিল। যারা ভারতকে পৃথিবীর নকশা থেকেই মুছে দিতে চেয়েছিল। তখন রাশিয়া ভারতের পাশে না দাঁড়ালে-ভারতের অস্তিত্ব বলেই কিছু থাকত না। ফলে ভারতের যে ক্ষতি হত, সেটা কি পরিশোধ যোগ্য? তাছাড়া সেই মুক্তিযুদ্ধে যে সমস্ত ভারতীয় সৈনিক প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রান ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব? তাই বাংলাদেশী জনগনের উচিৎ -পাকিস্তানের দালালি করা কোন গ্রন্থের তথ্য প্রমান নয়, নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে বিচার করা
উচিৎ ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের। এখন প্রশ্ন এই গোপন চুক্তি কোথা উঠে এল? শোনা যায় মেজর ডালিম এক ভি়ডিও বার্তায় এই গোপন চুক্তির কথা প্রকাশ করেছেন…………..।
এখন দেখা যাক গোপন চুক্তিতে কি আছে… এই গোপন চুক্তির তৃতীয় দফায় বলা আছে বাংলাদেশের নাকি কোন সেনা থাকবে না।তো এখন প্রশ্ন- শেখ মুজিবর এবং দশ বছরের শিশু সন্তান সহ পরিবারের সকলকে সেনার গুলিতে নিহত হতে হয়েছে।যদি চুক্তিই ছিল বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনা থাকবে না-তাহলে সেনার গুলিতে মৃত্যুর খবর কি বাংলাদেশের জনগন মিথ্যে বলে মেনে নেবে? এবং সপ্তম দফায় বলা হয়েছে যে-বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ রেখে চলবে। এবং ভারত যতদুর সম্ভব বাংলাদেশকে সহয়তা দেবে। এখানে প্রশ্ন-ভারতের সঙ্গে চীনের শত্রুতা তো বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগের থেকেই, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে ৬২তে ভারত-চীনের যুদ্ধ হয়। তাহলে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সাম্যতা বজায় রেখে বানিজ্য চালিয়ে নিয়ে গেছে, ভারতের তো এক্ষেত্রে বাঁধা দেওয়ার কথা। চুক্তি মেনে ভারত কি বাংলাদেশকে বাঁধা দিয়েছে। তদরকী সরকারের উচিৎ, ভোট করানো। অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক কি হবে তা নির্বাচিত সরকারকে ঠিক করতে দেওয়া। নাহলে পাকিস্তানের জনগনের মত আঙ্গুল কামড়াতে হবে বাংলাদেশের জনগনকে।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post