কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া নিয়ে ভারত বাংলাদেশ উতপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই,বাংলাদেশ সরকারকে আমন্ত্রন জানালো ভারত সরকার, শুধু বাংলাদেশকেই নয়, ১৫০ বছর আগে যে সমস্ত দেশ ভারতের অংশ ছিল, সেই সমস্ত দেশকেই, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তরফ থেকে তাদের ১৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। কয়েক মাস আগেই এই আমন্ত্রন পাওয়ার কথা জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মমিনুল ইসলাম। তিনি জানান ভারত তাদের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫০ বছর পূর্তিতে অভিভক্ত ভারত সম্পর্কে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তাদেরও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য আহ্বন জানিয়েছেন। তিনি স্থিকার করেছেন যে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগীতার সুসম্পর্ক রয়েছে।এবং ভারত তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, কিন্তু দেশের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে, বর্তমান ইউনূস সরকার ঘোষনা করেছেন, অত্যাবশ্যক নয় এমন বিদেশ সফর করা যাবে না, তাই এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অংশ গ্রহন করছে না।আসলে ভারত সরকারের চাপে দেশটি বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়েছে । গত তিন বছর ধরে সরকার এই সমস্যাগুলো সমাধানের কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান তদারকী সরকারের সঙ্গে, ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো যাচ্ছে না। বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে। ফলে নানান মাধ্যমে এই নিয়ে চাপা শোরগোল ছিলই, যে ভারতের এই অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ কোন না কোন অজুহাত খাঁড়া করে অংশ গ্রহন থেকে বিরত থাকবে। সেই আশঙ্কাই ঐ অধিকর্তার কথা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল। এখন বাংলাদেশের দোসর পাকিস্তানও এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করছে, কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তানের উল্টো পথে হেঁটে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন থেকে বিরত থাকছে। তাহলে বাংলাদেশ কি চাইছেই যে তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যেন এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হতে বাধ্য হয়। এবং বাংলাদেশ ইউক্রেনের মত বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সাহায্য পাবে। যেটা তদারকী সরকার তাদের কুখ্যিগত করতে পারে। কারণ এই অনুষ্ঠান নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে।ভারতীয় গণমাধ্যমও এই খবর নজরদারি করছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভূটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশকেও এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। একজন অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে, এই প্রতিষ্ঠানটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১৫০ বছর আগে, তখন সব দেশই ভারতের অংশ ছিল। তারা সবাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। বিশ্বের বৃহত্তম বিমান বাহিনী, ব্রিটিশ এয়ার ফোর্স, সে সময় ভারতেই মোতায়েন ছিল। ১৮৬৪ সালে কলকাতায় ভয়াবহ সাইক্লোন এবং পার্বতীতে, ১৮৬৬ এবং ১৮৭১ সালে বর্ষাকালে, ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল। প্রথম অফিসটি কলকাতায় ছিল, পরে ১৯০৫ সালে শিমলায়, ১৯২৮ সালে পুনেতে এবং ১৯৪৪ সালে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post