ফাটল ধরছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে। প্রবল জটিলতায় ইউনূসের দেশে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার ৯০ দিনের মাথায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। রাজনৈতিক দলগুলি মোহম্মদ ইউনুসকে চাপে ফেলে। এমনকি নির্বাচন নিয়ে মোহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে কথা বলে বিএনপি’র মতো শক্তিশালী দল। শেষমেশ চাপে পড়ে ইউনূস, নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় দেন। ২০২৫ এর শেষ অথবা ২০২৬ এর মাঝামাঝি সময়ে। তবে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি নির্বাচনের দিনক্ষণ।
জেনারেল সেক্রেটারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি প্রেস কনফারেন্স করে ইউনূসকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিঁধতে শুরু করেন। তিনি জানান, যেভাবে দেশে গ্যাসের দাম বাড়ছে, নানা জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী…. তার জন্য নির্বাচন করে একটি স্থায়ী সরকার গঠন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা করছে। যদি দ্রুত নির্বাচন না করা হয়, তাহলে তাদের দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি এককভাবে নির্বাচন করতেও পিছুপা হবে না তাদের দল।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আর্মিতেও ভাঙন দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাল্টিপেল পাওয়ার সেন্টারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এবং লেফটেন্যান জেনারেল মহম্মদ হকের মধ্যে মতানৈক্য দেখা যাচ্ছে। ফলে পদ্মা পাড়ের দেশ যে জটিলতার মধ্যে আছে, তা বলাই যায়। আর তা কাটানোর জন্য একমাত্র পথ একটি স্থায়ী সরকার গঠনের। কিন্তু তার ব্যবস্থা না করে ভারত বিদ্বেষ বাড়িয়ে চলেছে গোটা দেশ। উস্কানি দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের জন্য। পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ। যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কিনছে তারা। চট্টগ্রাম বন্দরে কয়েকটি পাকিস্তানি জাহাজ নোঙর করতে দেখা যায়। তারমধ্যে কয়েকটি কন্টেনারও আসে বলে খবর। তার মধ্যে অস্ত্র থাকতে পারে, অনুমান করা হয়েছিল।
কিন্তু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরের সমসাগুলির দিকে নজর দিচ্ছে না তারা। একটি বড় সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যু। যা বহু বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম নিয়ে ভুগতে হচ্ছে দেশের অন্তবর্তী সরকারকে। আরাকানদের দাপট, তার সঙ্গে চট্টগ্রামকে সুরক্ষিত রাখা, চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের। তবে এই সরকারকে নিয়ে যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ খুশির নন তা বোঝা যাচ্ছে ইদানিং নানা কার্যকলাপে। দেশের অভ্যন্তরে জিগির উক্তি শুরু করেছে হাসিনা নাকি ফিরবেন। স্লোগান পোস্টারের ছেয়ে যাচ্ছে একাধিক এলাকা। তবে কি হাসিনাকেই চাইছেন গোটা দেশের একটি বিরাট অংশ?
Discussion about this post