২০ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার মসনদে বসবেন ট্রাম্প। যেদিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক স্তরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে পারে। বারে বারে আঁচ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। তবে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণের আগেই মোহাম্মদ ইউনূসের দেশ নিয়ে মন্তব্য করেন। ঠিক কি বলেছেন, শুনুন এই প্রতিবেদনে।
বাইডেন সরকারের নীতির প্রধান পরিকল্পনাকারীর হিসেবে মার্শা বার্নিকার্ট কে বিদেশ দফতরের পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আমেরিকা সরকারিভাবে না করলেও অনেকে বলছেন বাংলাদেশ থেকে হাসিনা সরকারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদেরই সুকৌশলের দ্বারা। গণ অভ্যুত্থানের এই পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল বার্নিকার্ট ঢাকায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূত থাকার সময়। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বিদেশ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল। সূত্রের খবর, বার্নিকার্ট- সহ আরও বেশি কিছু আধিকারিককে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের পছন্দের কর্তাদের পদে বসাতেই এই পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
আমেরিকার নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি এই ঘটনা যাতে দ্রুত বন্ধ করা হয় তারও বার্তা দিয়েছিলেন ইউনুসকে। কিন্তু ভারতের বার্তার মতই আমেরিকার বার্তা ও অগ্রাহ্য করে ইউনুস। উল্টে বলেন, এই ধরনের ভুয়ো খবর সম্প্রচার করছে ভারত। একই সঙ্গে বাংলাদেশ নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, বাকি সমস্ত দেশগুলির মতো এই দেশে নীতি ব্যর্থ হয়েছে বাইডেন সরকারের।
এরপরই শপথ নেওয়ার কিছুদিন আগে বাংলাদেশ নীতির প্রধান পরিকল্পনাকারীকে সরিয়ে দেওয়া ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যেই ট্রাম্প পাকাপাকিভাবে ক্ষমতায় বসার পর, বাংলাদেশ নিয়ে তার ঠিক কি অ্যাকশন থাকে সেই নিয়ে চর্চার শেষ নেই রাজনৈতিক মহলে। অনেকে মনে করছেন, আমেরিকার শান্তি শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বার্তা আসতে পারে মোহাম্মদ ইউনূসের দেশে। এমনকি সেন্সর করার মত ঘটনা ঘটতে পারে। গণতান্ত্রিক উপায়ে একটি স্থায়ী সরকার গঠনেরও দ্রুত চাপ আসতে পারে মোহাম্মদ ইউনূসের উপর। তবে আদেও কতটা কি কার্যকর হবে, সেদিকেই নজর রয়েছে প্রত্যেকের।
তবে দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যে মহম্মদ ইউনুসের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন তা বলায় বাহুল্য। কারণ জ্বলন্ত কিছু সমস্যা অনেকদিন ধরেই মাথাচাড়া দিয়েছে। তাতে রাশ টানেননি ইউনূস। সরকার চালাতে ব্যর্থ নোবেলজয়ী। এমন প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বিভিন্নক্ষেত্রে। এমনকি হাসিনা বিরোধী স্লোগানের থেকে প্রত্যাবর্তন নিয়ে স্লোগান উঠছে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোণে কোণে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর খানিকটা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আয়ত্তে আসবে, মনে করছে। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।।
Discussion about this post