গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার স্থাপন হয় যার নেতৃত্বে অর্থনীতিবিদ ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। শেখ হাসিনা দেশকে ঠিক যে অবস্থানে রেখে দেশত্যাগী হতে বাধ্য হয়েছিলেন, সেই অবস্থান থেকে আরও উন্নত অবস্থানে পৌঁছাবে দেশ ও জাতি, এমনটাই মনে করেছিল বাংলাদেশ নাগরিকেরএকটা বিরাট অংশ। কিন্তু ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারা বাংলাদেশে নৈরাজ্য চলেছে বলে অভিযোগ করেছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ। আর সেই অভিযোগ বারবারই নস্যাৎ করেছেন মুহম্মদ ইউনূস।
ইউনূসের আমলে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুরা প্রবলভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা থেকে অর্থনীতি সবটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। একাধিকবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বার্তাও দিয়েছেন তিনি। আর এই বিষয়টিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছিল না বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। ভারতে বসে হাসিনার বার্তা দেওয়ার বিষয়ে ভারতের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রমশ যখন বাংলাদেশে রাজনীতির পারদ চড়ছে সেই আবহে নির্বাচন নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন জমা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। কবে হবে নির্বাচন? আদৌ কি হবে? যদি নির্বাচন হয় তবে সেই নির্বাচনে আওয়ামি লিগ লড়বে কিনা এই প্রশ্নটি এখন সব থেকে বেশি প্রাসঙ্গিক।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মুহম্মদ ইউনূস প্রথম জানিয়েছিলেন, ২০২৫ এর শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে পারে। আবার সম্প্রতি ডঃ ইউনুস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে তাঁর সরকার কত দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারে, তার উপর। মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে তবেই ভোট হবে বলে জানিয়েছেন ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘যদি আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত সংস্কার হয়ে যায়, তবেই ডিসেম্বরে নির্বাচন করানো সম্ভব।’ বাংলাদেশে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তোলা হয়েছে একাধিকবার। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে অন্তরবর্তী সরকারের।
ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর কট্টরপন্থীরা মহিলাদের উপর ফতোয়া জারি করেছে। বিভিন্ন স্তরের নারীদের নানাভাবে হেনস্থা, নিগ্রহ ও অপমানের শিকার হতে হয়েছে।সেই প্রেক্ষাপটে এবার সে দেশে নারী দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নারীর উপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মহম্মদ ইউনুস! এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব।’ এদিনের এই মঞ্চ থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান অরাজকতার জন্য নিজের দায় ঝেড়ে ফেলারও চেষ্টা করেন ইউনুস। তাঁর দাবি, ‘স্বৈরাচার এর দল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু স্বৈরাচার বলতে কাকে বোঝাতে চাইলেন ইউনুস? যার বিরুদ্ধে এতো বড় দুর্নীতির অভিযোগ।
Discussion about this post