যেদিন সেনাপ্রধান বলেছিলেন আমি সাবধান করে দিচ্ছি, দেশের অভ্যন্তরের গন্ডগোল বা শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ে আপনারা নিজেরা দেশের যা ক্ষতি করছেন, তা বন্ধ না করলে পরে যা ঘটবে তার জন্য প্রস্তুত থাকুন।সেনা হস্তক্ষেপ শুরু করলে তার ফল ভালো হবে না, যদিও সেনাপ্রধানের সেই ধরনের কোন আকাঙ্খা নেই।। কিন্তু সেনাপ্রধান কি সাধারণ মানুষের আর্তি বুঝতে পারছেন না।তারা এই সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা চাইছে সেনা দায়িত্ব নিয়ে দেশে নির্বাচন করাক। কারণ ইউনূস সাহেব ভোট নয়, গৃহযুদ্ধ করাতে চাইছে। ভারত কি বাংলাদেশের অধিনে থাকা দেশ, যে বাংলাদেশ চাইলো আর হাসিনাকে বিচারের জন্য ভারত বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে। ভারত কোন দিনই বিচারের জন্য হাসিনাকে বাংলাদেশে পাঠাবে না। আর ছাত্ররা বলছে হাসিনার বিচার না হলে ভোট হবে না।
তার মানে গৃহযুদ্ধ আটকানোর কোন পথ আছে কি? আর সেই গৃহযুদ্ধে সেনার কঠোর ভূমিকা থাকবেই। এখনই মানুষ ত্রাহি ত্রাহি রব তুলেছে।অথচ ইউনূস সাহেব দেশে অশান্তির কোন ছবি দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু তারই সরকারের আইনি উপদেষ্টাকে ছাত্ররা প্রতিদিন পতত্যাগ করতে বলছেন, কেন? ইউনূস সাহেব তাহলে কি এটা বোঝাতে চাইছেন যে দেশে যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক ঘটনা, আর যারা তাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে প্রতিবাদ প্রতিকার চাইছেন,তারা স্বৈরাচারী হাসিনাকে সমর্থন করে এসেছেন তাই তাদের বাড়ীর মহিলাদের এবং সম্পদের সুরক্ষার দায় ইউনূস সাহেবের নেই? কারণ তাদের ধ্বংস করার জন্যই তো এই অভ্যুত্থান। তবে এখন এটি পরিস্কার যে এটি গনঅভ্যুত্থান ছিল না। এটিকে বিদেশ থেকে ফান্ডিং করা হয়েছে, এবং সেই অঙ্কটি ২৯ বিলিয়ন ডলারের থেকে হয়তো বেশীই হবে। কারণ আন্দোলনে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা জানে যে একটি আন্দোলনে সাধারণ মানুষ কতটা সাহায্য করলে প্রতিদিন তিনবেলা বার্গার আর বিরিয়ানি খাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সেই সামর্থ বা ইচ্ছা কোনটিই নেই। কিন্তু আন্দোলন রত ছাত্ররা রোজ তিনবেলা বার্গার বিরিয়ানি খেয়েছেন, এবং সেটি শুধু একটি কলেজে নয় সব কলেজেই খায়ানো হয়েছে, ভাবা যায়। আন্দোলন তো একদিন দু-দিন চলেনি, মাসাধিকাল চলেছে। অনেকে গর্ব করে বলেন আমাদের ইউনূস সাহেব কোন চাওয়ালা নন বা কোন নাট্য দলের অভিনেতা নন, তিনি নোবেল পাওয়া ব্যক্তি।…ও ভাইরে নোবেলটা পেলেন কিসে, জানেন। শান্তির জন্য, এর থেকে হাস্যকর আর কি আছে ভাই। উনি কোন দেশের যু্দ্ধ থামাতে, যুদ্ধের মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। আর ওনার আহ্বানে যুদ্ধ থেকে গেছে। যিনি সুদের টাকা আদায় করতে ছাগল হাঁস মুরগি জোর করে লোক দিয়ে তুলে নিয়ে যান, তিনি শান্তির নোবেল পেয়েছেন। ভাই রে ভাই-এর থেকে আর মজাদার গল্প কি আছে।শোনা যায় হিটলারও নাকি নোবেলের জন্য মনোনিত হয়েছিলেন। তবে সেটি শান্তির জন্য কিনা বলতে পারবো না।এর থেকেই বোঝা যায়, নোবেলটা আসলে কি।
এর মাঝে বলে রাখি ভারতের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ভাষায় যিনি চা বিক্রেতা, তিনি কিন্তু ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যু্দ্ধ থামাতে, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশেই গিয়েছেন কথা বলতে।তিনি ভারতে থেকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান করেন নি। এবার বলি নোবেল জয়ী ইউনূস যতদিন থাকবেন বাংলাদেশ ততই পিছনে যাবে। আর চাপ বাড়বে ভারতের উপর। খিলাফত আন্দোলনের নামে অমুসলিমদের উপর অত্যাচার হবে, আর বাংলাদেশ ছেড়ে মানুষ বাধ্য হবে ভারতে আসতে। কিন্তু পাকিস্তান আর চিন বাদে অন্য কোন দেশ কি ইউনূসের শশ্মানের শান্তির বানী মেনে নেবে। তা মেনে নেবে না বলেই তুলসী গ্যাভার্ড বাংলাদেশ নিয়ে তার মতামত জানিয়েছেন যার কারণে চাপ বাড়ছে সেনাপ্রধানের উপর। কারণ বাংলাদেশের কিছু সেনা সদস্যের সঙ্গে কথা বলার কারণে তিনি দক্ষিন আফ্রিকা যাননি।তিনি যে কাজটি দেশে তার উপর নজরদারির কারণে করতে পারছিলেন না, সেটি করতেই দক্ষিন আফ্রিকা গিয়েছিলেন। সেখানে উচ্চপদস্থ মার্কিন সেনাদের সঙ্গে তার বৈঠক শেষ করেছেন।
এবার তার উচিত দেশের মানুষের তার প্রতি যে আস্থা, তার প্রতি যে সম্মান তার দাম দেওয়ার। এটি মনে রাখতে হবে তার অনুপস্থিতির কথা জেনেই খিলাফত আন্দোলনের নামে নামাজের পর মিছিল হয়েছিল। যা দেশের পুলিশ বাহিনী আটকানোর চেষ্টা করেছেন মাত্র। কিন্তু জানা দরকার এই আন্দোলনে ইউনূস সাহেবের সমর্থন কতটা। আসলে ইউনূসের আদরের মাহফ্যুজই তো এই জঙ্গী দলের সদস্য। আই ইউনূস সাহেব বাংলাদেশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের নির্মম মৃত্যু ঘটানো পাকিস্তানের কোলে বসে নাচছেন।নতুন দাদার আদর খেতে।
Discussion about this post