তুলসি গ্যাবার্ড ভারতের নিয়ে দিল্লিতে বসে বাংলাদেশ নিয়ে যা যা মন্তব্য করলেন, তাতে ঘুম উড়েছে মোহম্মদ ইউনূসের। এবার কি তবে বাংলাদেশের সিংহাসন হাতছাড়া হয়ে গেল নোবেল জয়ীর? ইউনুসের ক্ষমতায় থাকার সাধ কি এবার শেষ হয়ে গেল? এই প্রশ্নগুলোই ঘনীভূত হচ্ছে দিন দিন। কারণ মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান যে তথ্য পেলেন, তাতে তিনি তথ্যগুলি শুধু কানে শুনে বা ফাইল বন্ধ করে রাখবেন, সেটা একেবারেই নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেকোনও মুহূর্তে অ্যাকশন নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। যেটি একেবারেই মানবেন না তুলসি। তিনি ফিরে গিয়ে বড়সড়ো কোনও পদক্ষেপ করতেই পারেন। তখন কি সামলাতে পারবেন?
বাংলাদেশে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ। বেড়ে উঠছে জঙ্গি সংগঠন গুলি। এবার সামনে এল, ওয়াশিংটন এক্সামিনারের প্রকাশিত প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে ছত্রছত্রে প্রশ্ন উঠে আসছে, বাংলাদেশ কি পরবর্তী আফগানিস্তান! অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান চেহারাটা বিশ্বের দরবারে অত্যন্ত ভয়ানক। আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ধরনের কিছু প্রকাশিত হলে, বা কেউ মন্তব্য করলে ভারতকে দোষারোপ করে বাংলাদেশ। ঠিক যেমনটা করা হল, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যকে।
ওয়াশিংটন এক্সামিনার যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী গণমাধ্যম। আর এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন মাইকেল রুবিন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা লেখক এবং বিশ্লেষক। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এবং সেখানকার সরকারের কার্যকলাপ। বোঝানো হয়েছে, বাংলাদেশের সরকার দমন পীড়ন রুখতে প্রশাসনকে কতটা বা কিভাবে কাজে লাগাচ্ছে। তারপরই সেখানে চাঞ্চল্যকর ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ কি পরবর্তী আফগানিস্তান! অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের মতো এমন শক্তিশালী দেশের গণমাধ্যম স্বরূপ হচ্ছে বা প্রশ্ন তুলছে পদ্মা পাড়ের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে। এরপরও কি টনক নড়ছে বাংলাদেশের অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহম্মদ ইউনূসের? যিনি আবার বিশ্বের শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু সেটা কি আদেও পালন করছেন তিনি? এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে সাম্প্রতিক সময়ে।
বাংলাদেশের লক্ষণীয় একটি বিষয় হল, আন্তর্জাতিক কোন গণমাধ্যম বা কোন ব্যক্তিত্ব ইউনূসের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা বা কোন মন্তব্য পেশ করলে বলা হয়, ভারত দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ব দরবারের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারছে না, যে ভারতের তরফে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রচুর। কাজেই সে দেশ যদি অশান্তির মধ্যে থাকে, তবে আখেরী ক্ষতি হবে ভারতেরই। তাই ভারত কোনভাবেই চাইবে না, বাংলাদেশের মানুষ খারাপ থাকুক বা সেখানে অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে যাক। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যখন নড়েচড়ে বসছে, তখন বাংলাদেশে আর কতদিন মোহাম্মদ ইউনুস সিংহাসনে থাকতে পারেন, সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। পাশাপাশি যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন বড় পদক্ষেপ করেন, তবে সামলাতে পারবে তো বাংলাদেশের উপদেষ্টা মন্ডলীরা? এই প্রশ্ন করে উঠে আসছে। এখন দেখার, শেষমেশ কোথায় গিয়ে সন্ত্রাসবাদ থামে মোহাম্মদ ইউনূসের দেশে!
Discussion about this post