দামোদরপুর এলাকায় তৈরী করা হয়েছিল ফ্যাকাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। প্ল্যান্ট তৈরী হওয়ার প্রায় এক বছর পরেও পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনের প্ল্যান্টে এখন সমাজবিরোধীদের রমরমা।
বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের দামোদরপুর এলাকায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জেলা পরিষদের প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরী করা হয়েছিল ফ্যাকাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। উদ্যেশ্য ছিল এলাকার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি থেকে কঠিন ও অর্ধ কঠিন বর্জ্য এই প্লান্টে নিয়ে এসে তা থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। কিন্তু প্ল্যান্ট তৈরী হওয়ার পরেও কাজ শুরু না হওয়ায় প্রায় এক বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনের সেই প্ল্যান্টে এখন সমাজবিরোধীদের রমরমা। স্থানীয়দের দাবী সন্ধ্যার অন্ধকার নামলেই মদ্যপ সমাজবিরোধীরা জমায়েত হয় ওই প্ল্যান্টে। সেখানেই গভীর রাত পর্যন্ত বসে মদ্যপানের আসর। সমাজবিরোধীদের দাপটে সন্ধ্যার পর পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও রীতিমত ভয় পান এলাকার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের দাবী অবিলম্বে চালু করা হোক ওই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট।
পরিকাঠামো তৈরীর পরও কেন ওই প্ল্যান্টে কাজ শুরু করা হয়নি তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতা বিকাশ ঘোষের দাবী কাটমানি নিতেই ওই প্ল্যান্টের নামে অর্থ বরাদ্দ করে আসলে টাকা লুঠ করা হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদ সভাধিপতি অনুসূয়া রায়ের দাবী ওই প্ল্যান্টের পরিকাঠামো তৈরীর কাজ এখনো সম্পূর্ণ না হওয়াতেই কাজ শুরু করা যায়নি। পরিকাঠামো সম্পূর্ণ করার জন্য ইতিমধ্যেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই পরিকাঠামোর কাজ সম্পূর্ণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।
Discussion about this post