বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি. ভোয়েলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। তাদের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ঢাকায় সেনা সদরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময় ছাড়াও তাঁরা দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এবং এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মূলত, ২৪ ও ২৫ মার্চ বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এবং এক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কীভাবে বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে, সে বিষয়ে আলোচনা করতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি বাংলাদেশ সফর করলেন । ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দুদিনের সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের দৃঢ়সম্পর্ক অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি পারস্পরিক নিরাপত্তা স্বার্থ ও চলমান সহযোগিতার বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।
আলোচনায় যৌথ নিরাপত্তা স্বার্থ ও চলমান সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশীয় নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান সহযোগিতার স্বীকৃতি। বিশেষ করে দুর্যোগ মোকাবিলার মতো জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধান সামরিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সেসব বিষয় উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সরঞ্জাম ক্রয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল জোয়েল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনন্য ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য মোতায়েন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও বিভিন্ন কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন।
জানা যাচ্ছে,এক দিনের সফরে মার্কিন সেনা প্রতিনিধিদলটি সোমবার রাতে ঢাকা পৌঁছায়। আর মঙ্গলবার রাতে তাদের ঢাকা ত্যাগ করার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
Discussion about this post