এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। সেদেশের সাধারন মানুষ তার ওপরেই ভরসা করে রয়েছেন। কারণ, ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে এই দেশের? অর্থাৎ আগামী দিনে কী ভবিষ্যৎ এই রাষ্ট্রের?
কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে চলেছে বাংলাদেশ, এই জল্পনা যখন সাধারণ মানুষের মনে তখন সেনা প্রধানের প্রতিটি বক্তব্য আকৃষ্ট করছে সেদেশের আমজনতাকে। সেটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুই হতে পারে। এর মাঝেই ২৬ মার্চ বঙ্গভবনে ইফতারের পর মাগরিবের নামাজে সেনাপ্রধানকে ইমামতি করতে দেখা যায়।
অর্থাৎ,রাজধানীর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে নামাজে ইমামতি করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। এ ঘটনার একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে,মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই দিন এক সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও অংশ নেন।
এর আগে গত সোমবার ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে যে বৈঠক হয়, সেখানে বিভিন্ন কম্যান্ডিং অফিসার থেকে সদর দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই বৈঠকের পরেই সেনাপ্রধান বৈঠক করেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন চুপ্পুর সঙ্গে। ঢাকা সূত্রে জানা যাচ্ছে, সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে গতবছর হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং বাংলাদেশের দায়িত্বে আসীন হন ইউনূস। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাঁর সরকারের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রপতির গোপন বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
Discussion about this post