রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত খুন মারধর চুরি ডাকাতি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং সংখ্যালঘুদের ধরে ধরে টার্গেট করে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। তবে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছেন ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সাভার সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।
যেখানেই সমস্যা হয়েছে, ৯ পদাতিক ডিভিশন সেখানেই ছুটে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীসবটুকু দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষা করবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সামরিক বাহিনী একসঙ্গে কাজ করে যাবে, এমনকি সংখ্যালঘুদের এই নিশ্চয়তা দিয়েছেন সেনাকর্তারা।
মার্চের শুরুতেই ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে ‘স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে মেজর জেনারেল মঈন বলেন, পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়ার পর সেনাপ্রধান আমাকে দুটি বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে বলেছিলেন–বাংলাদেশের অর্থনীতি যেন কোনোভাবেই বিপর্যস্ত না হয়। শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। সেনাপ্রধান আমাকে বলেছিলেন, অর্থনীতি যদি ক্ষতিগ্রস্ত ও পঙ্গু হয়ে যায় তাহলে দেশ টিকবে না। তখন আমরা ৯ ডিভিশন থেকে একটা টাস্কফোর্স গঠন করে শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা বিধান করে আসছি।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের এই জিওসি বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কথা শুনেছেন। সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই কাজটি করা হয়েছে। সেখানে যেসব সমস্যা উঠে এসেছে দ্রুত সেগুলোর দিকে দৃষ্টি দেব। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। এ নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিতে পারি। ভবিষ্যতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরও কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন মেজর জেনারেল মঈন।
সংখ্যালঘু মানুষের পাশে দাঁড়াতে সেনাবাহিনী সর্বদা চায়, সকলে বাংলাদেশের নাগরিক, সবার অধিকার সমান। সকল নাগরিক হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে এই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কোনো ভেদাভেদ নেই, পার্থক্য নেই এটিই তাদের বিশ্বাস।
Discussion about this post