কিছুদিন আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ও মোহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারকে বলা হচ্ছিল, সৌজন্য বৈঠক। অবশ্য কেউ কেউ বলছিলেন, গত চার মাস ধরে জমে থাকা অভিমান ঘোচাতে এই বৈঠক। ফের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক। এইবার তাহলে কি কারণে হঠাৎ দেখা করলেন তারা? এইবার নিশ্চই অভিমানের কোনও জায়গা নেই। তাহলে কি এমন ঘটলো, যে কারণে তড়িঘড়ি বৈঠক করতে হল তাদের?
রাজনৈতিক মহলে এখন তুমুল আলোচনা হচ্ছে, যমুনা ভবনে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান এবং দেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহম্মদ ইউনূসের বৈঠক ঘিরে। আগের বৈঠকটিও হয়েছিল, যমুনা ভবনে। তবে তখন সদ্য মধ্য আফ্রিকা সফর শেষ করে দেশে ফিরেছিলেন সেনাপ্রধান। সূত্র মারফত খবর, মধ্যে আফ্রিকাতে কি কি আলোচনা হল, দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াল, সেট নিয়ে আলোচনা করতেই উপদেষ্টা কাছে দরবার করেছেন তিনি। তবে আরও একটি বিষয় ছিল, সেটা অভিমান। ওই সাক্ষাৎকারের প্রায় চার মাস আগে থেকে সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউনূসের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। সেই দূরত্ব ঘোচাতেই এই বৈঠক। তবে ফের যমুনা ভবনে বৈঠক করলেন দুজনে। এবার তবে কি নিয়ে আলোচনা হল, সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর করে ফিরেছেন। চীন সফরের মূল কারণ ছিল, তিস্তা মমহাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন করা। সেটা কত দূর, এগোল, আদেও এগোল কিনা, সেটা নিতেই মূলত সাক্ষাৎকার। এর পাশাপাশি দেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কারণ নতুন রাজনৈতিক দলগুলির উত্থানের পর থেকে, সেই দলের নেতারা নানা মন্তব্য করছে। যা দেশের জন্য ক্ষতি। সেটা নিয়ে ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা সারতে তার কাছে দরবার করেন মোহাম্মদ ইউনূস।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগে ঢাকা আসে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধি দল। মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে। তখন ইউনূস জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়। এই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা নেই। এমনকি তিনি বলেন, যেসমস্ত আওয়ামী লীগ নেতা, নেত্রীদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে কোনও অসুবিধা নেই। আর এতেই দূরত্ব বেড়েছে তাদের। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যের বিরোধিতা করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ছাত্রনেতারা। এখন, এই ঘটনার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।
Discussion about this post