পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়। তবে কি আবারও সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন কোন বৈঠকে বসতে চলেছেন সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল , ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে এবার ঈদের উৎসবে নেই বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। গত বছর ৫ আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রায় অধিকাংশনেতা দেশ ছাড়া বা আত্মগোপনে রয়েছেন। আর বাকি নেতাকর্মীরা জেলে বন্দী। গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় যত এগিয়েছে, ততই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মতভেদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বিগত রমজান মাসে ইফতার পার্টিগুলিতে দেখা গিয়েছে একই স্থানে দাঁড়িয়ে একেক রাজনৈতিক পার্টির নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখছেন। অথবা আলাদা আলাদা ইফতারের আয়োজন করছেন। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বুকে এ যেন এক অন্য ঈদ।
বিগত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল দেশে জাতীয় নির্বাচনের দিন-তারিখ কবে ঘোষণা হবে। সেনাপ্রধানও বলেছিলেন, আমরা দেশে একটা অবাধ, স্বচ্ছ এবং ইনক্লুসিভ নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তার আগে যে সমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন সরকার অবশ্যই সেদিকে সাহায্য করবে। আমি যতবারই ডক্টর ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করেছেন, আমরা খুব শীঘ্রই স্বচ্ছ অবাধ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাব, যেখানে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।
এই আবহে উল্লেখযোগ্য দিক হল, জামায়াতে ইসলামী এবং সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি জোর দিয়ে এসেছে অগ্রাধিকারের দিক থেকে রাষ্ট্রীয় সংস্কার এর পরে নির্বাচনকে রেখেছে তাঁরা। অপরদিকে বিএনপি-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল চাইছে, আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেও বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের তদারকি সরকার অস্বীকারও করতে পারছে না। যেমন সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে নজর রেখেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এই বিষয়ে ভারত জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হতে পারে। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কারের সময়সীমার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলি আগাম নির্বাচনের জন্যে ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে সরকারের ওপর।’ পাশাপাশি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
Discussion about this post