বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমানার পতন হতেই সেখানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল হয়েছে। ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা অন্তরালে থেকেও সক্রিয় হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে বারবার তিনি বলেছেন দেশে ফিরবেন। ইতিমধ্যেই তার আরও একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, মোহাম্মদ ইউনূস আগুন নিয়ে খেলছে। হাসিনার হুঙ্কারে চাপে পড়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে কি হাসিনার এই হুঙ্কারের নেপথ্যে সেনাপ্রধানের হাতে রয়েছে ব্লু প্রিন্ট? রাজনৈতিক মহলে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
এর মধ্যে আরও একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সামনে আসছে। ভারতের তরফে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, ভারতের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও পদক্ষেপ করতেই পারে ভারত।
অন্যদিকে বারবার হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের চিঠি, যার কোনও উত্তরই দেয়নি ভারত। বলাই যায়, এত সহজে হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে না ভারত সরকার। এদিকে বাংলাদেশের অন্দরে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। এর পাশাপাশি সেদেশে হয়ে চলা একের পর এক ঘটনা, সেটাও ভাবাচ্ছে অন্তবর্তী সরকারকে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার মহা বিপদে। তবে শেখ হাসিনার সদ্য ভাইরাল অডিওতে তিনি যে বারবার তার দলীয় কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, কাজ করার কথা বলছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কি সত্যিই দেশে ফেরার ছক কষে ফেলেছেন? এমনকি রমজান মাসে ইফতার পার্টি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নাকি কয়েকটি বৈঠক করেছে ভারতে। যেখানে আওয়ামী লীগের বহু কর্তা ছাড়াও অভিনেত্রী এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে আওয়ামী দল। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন হাসিনা। আর তার নেপথ্যে থাকতে পারেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তার কারণ বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামিয়েছেন তিনি। এমনকি অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মতানৈক্য দেখা গিয়েছে। যদিও এখন পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্তে। তবে ঝড় আসার আগের পরিবেশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে। বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Discussion about this post