ভারত, ভিয়েতনাম ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ব্রক্ষমস চুক্তি করল। যেটা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে জানা যাচ্ছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত পরিবর্তনশীল গতিবিধির মধ্যে ভারতের ব্রক্ষমস মিসাইল ব্যবস্থার নির্ভুলতা , শক্তি এবং অংশীদারিত্বের প্রতীক হিসাবে আবিভূর্ত হয়েছে। ভিয়েতনাম এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলার চুক্তি স্বাক্ষর করার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ভিয়েতনাম প্রতিরক্ষা সম্পর্ক একটি নতুন অধ্যায় শুরু হল। ঐতিহাসিক ভারত রাশিয়ান সহযোগিতার ফলে তৈরি এই মিসাইল কীভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে এটি চাহিদা সম্পন্ন অস্ত্র হয়ে উঠলো? ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদী এবং রাশিয়ার মোয়াকোভা নদীর নাম অনুসারে এর নামকরণ হয়।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৯৯৮ থেকে
ব্রক্ষমস এয়ার এয়ার স্পেসে যৌথ সৃষ্টি। এটি ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে স্টল, জল বা আকাশপথে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে। ২০১৭ সালে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে এটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই মিসাইলটি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। জানা যাচ্ছে, ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি এই সফরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চুক্তি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সমুদ্রের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একমত হয়েছে দুই দেশ। এমনকি দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মালাক্কা প্রণালী ও সিঙ্গাপুর প্রণালী দিয়ে যাতে সূরীক্ষিতভাবে যাতায়াত করা যায়। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে সহযোগিতা করা যায়, সেটার ক্ষেত্রে একমত। এমনকি ভারতের তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেন্দ্রেও আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া। এর আগে জানা যাচ্ছে, ভারত ২০২২ সালে ফিলিপাইনের সঙ্গে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। যেটা নাকি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম আন্তর্জাতিক বিক্রয়। ভিয়েতনামের এই অধিগ্রহণ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধের সম্মুখীন দেশগুলির মধ্যে অস্ত্র ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরে বলা জানা যাচ্ছে। যেটা মোটেই ভালো চোখে নেয়নি চীন। তবে চীনের রক্তচক্ষু অগ্রাহ্য করে সামরিক চুক্তি করেছিল ভারত।
ব্রাহ্মোসের সক্ষমতার সম্প্রসারণ এবং এর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাহিদা চীনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা দক্ষিণ চীন সাগরে নাকি বহুদিন ধরে আঞ্চলিক দাবি জাহির করে চলেছে। তবে এই খবর আসতেই ঘুম উড়েছে চীন এবং তাদের দোসর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের।
Discussion about this post