কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশের আকাশে। বাংলাদেশ হারাতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রাম। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ বলছেন, টোপ গিলে ফেলেছেন মোহাম্মদ ইউনুস। কি রকম? চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ঢাকাতে রয়েছেন মার্কিন তিন প্রতিনিধি দল। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক এবং মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পূর্ব এশীয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ থাকছেন। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও থাকছেন। মার্কিন মুলুকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পরই এই প্রথম তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করছেন। তারা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এবং সেখানকার অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলছেন। এর আগে মার্চ মাসে দেখা গিয়েছিল, মার্কিন লেফট্যান্ত জেনারেল জে ভি ভোয়েল বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এখন এই মার্কিন তিন কর্তা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশকে কেন এত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মার্কিন প্রশাসন? আসলে শেখ হাসিনা ডিপ স্ট্রেটের প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, যে সেন্ট মার্টিনে কোনওভাবেই আমেরিকার কোনও ঘাঁটি বানাতে দেবো না। পরে হাসিনার পতন ঘটলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি ধারণা তৈরি হয়, যে হাসিনাকে উৎখাত করতে ডিপ স্ট্রেটের কোনও না কোনও হাত রয়েছে। এইবার সেই একই কোপে বিদ্ধ হয়েছেন মোহাম্মদ ইউনূস। কারণ আমেরিকার দীর্ঘদিনের নজর সেন্ট মার্টিনে। মনে করা হচ্ছে, সেন্ট মার্টিনে ঘাঁটি তারা তো বানাবেনই। একইসঙ্গে মায়ানমারে একটা যুদ্ধ শুরু হবে। সেই তথ্য আগাম পাওয়া যাচ্ছে। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশকে সামনে রেখে যুদ্ধটা করবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল। বাংলাদেশকে দিয়ে টেকনাফ, কক্সবাজার, শিতলখালী সন্নিহিত যে এলাকা রয়েছে, সেখানে ড্রোন ঘাঁটি, সামরিক ঘাঁটি বানানো হচ্ছে। শিতলখালীতে যে বিল্ডিং গুলিকে প্রস্তুত করা হয়েছে, সেখানে মূলত রসদ ঘাঁটি তৈরি করা হবে। এবং সেখানে থাকবেন মার্কিন আর্মির বিভিন্ন সেনাকর্তা। কারণ মায়ানমারে জুনতা সরকারকে তাদের হটিয়ে দেওয়ার উদ্দ্যেশ্য। এটা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার পলিসি। সরাতে পারলে বাকি স্ট্রেটগুলিকে স্বাধীন করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ অনেকে বলছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি প্রক্সি ওয়ারে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, যখন সেনাবাহিনী এই মিস এডভেঞ্চারে যাবে তখন অনেকে এগিয়ে মায়ানমার সরকার সামরিক দিক থেকে। যদিও বাংলাদেশও পাল্টা আক্রমণ শানাবে। আমেরিকাও শানাবে। ফলে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এ সমস্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বিধ্বস্ত হবে। আর এখানে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনীর প্রক্সি ওয়ারে জড়িয়ে যাওয়া কার্যত টোপ গিলে ফেলেছেন মোহাম্মদ ইউনুস।
Discussion about this post