জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি ফিরছে পদ্মাবারের দেশে? ফের উত্তাল গোটা দেশ। গতবছরের আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে পথে পড়ুয়ারা। তিন দফা দাবি সম্বলিত বিক্ষোভ আন্দোলনে নামে পড়ুয়ারা। দুদিনে শতাধিক পড়ুয়া যোগ দিয়েছিলেন বিক্ষোভ আন্দোলনে। ঠিক যেমন দেখা গিয়েছিল হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেমেছিল পড়ুয়ারা। তবে কি আবারো জুলাইয়ের স্মৃতি ফিরে আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে? এবার কি প্রমাদ গোনা শুরু অন্তর্বর্তী সরকার এর? কী কারণে এই বিক্ষোভ পড়ুয়াদের?
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, বুধবার বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে সরাসরি প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বাসভবনের যমুনার দিকে অগ্রসর হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের পথ অপরাধ করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসে মুহূর্তের মধ্যে ছত্রভঙ্গ হয় মিছিল। আহত হয় বহু পড়ুয়া। ভয়ংকর আকার ধারণ করে বিক্ষোভ। ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ।
এই বিক্ষোভ আন্দোলন দীর্ঘায়িত হওয়ার পর ঢাকার রাস্তায় অবস্থানে বসে পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন এই পড়ুয়ারা।
প্রথমত, পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হস্টেল ব্যবস্থা অনিশ্চিত থাকাকালীন, ৭০ শতাংশ পড়ুয়াদের আবাসন বৃত্তি বা নূন্যতম সহায়তা খরচ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ বাজেটকে কাটছাঁট না করেই দিতে হবে অনুমোদন। আর তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির আওতায় অনুমোদন করে তা অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন এর ব্যবস্থা করতে হবে।
পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের মূল কান্ডারী জুলাই ঐক্য সংগঠন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পড়ুয়াদের দাবি গুলি মানতে কেন এত আপত্তি? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম এক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। কিন্তু আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে অতিসত্বর তাকে ওই এলাকা পরিত্যাগ করতে হয়।
প্রসঙ্গত,গতবছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ছন্নছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি। এবার মহম্মদ ইউনূসের নিশানায় সরাসরি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। দেশ ছুড়ে হঠাৎ করেই কেন সেনাপ্রধানের গ্রেফতারী প্রসঙ্গ উঠে এলো , যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশের সংবিধানকে মুছে দিতে একের পর এক পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে মহম্মদ ইউনুস। আর তার একটি অংশ হিসেবে দেশের সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তবে সেই পরিকল্পনা একেবারেই নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে ইউনূসের ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট!
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে উত্তেজনার পর থেকে থমথমে পরিবেশ ক্যান্টনমেন্ট চত্বরে! সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে তার পথ থেকে সরানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, এবার তৎপর সেনানিবাস। সরকারের এই পরিকল্পনাকে ঠেকাতে তড়িঘড়ি বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান বৈঠকে বসেন এবং তারা সফল হন। কিন্তু এরপর থেকেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রপতি ভবনে সে দেশের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। এছাড়াও পাকিস্তানি এজেন্ট যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কু করার চেষ্টা চালাচ্ছে সনাক্ত করতেও তৎপর তিন বাহিনী।
Discussion about this post