বামফ্রন্টের আমল ২০১০ সালে শীলন্যাস হয় সপ্তমুখী নদীর উপরে সেতু তৈরির। শাসক দল ক্ষমতা আসার পর সেতু তৈরি ও উদ্বোধন হয়। নাম দেওয়া হয় “মিলন সেতু” তাই নিয়ে এখনও চলছে বিতর্ক, বামফ্রন্টের দাবি তৈরি করেছে বামফ্রন্ট, আর বর্তমান শাসক দলের দাবি তৈরি করেছে তাদের দল ।
আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগের কথা, তখন বামফ্রন্টের আমল, তৎকালীন বামফ্রন্টের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন কান্তি গাঙ্গুলী। তার চিন্তা ভাবনায় উঠে আসে কাকদ্বীপ বিধানসভার সঙ্গে পাথরপ্রতিমা বিধানসভার সংযোগকারী একটি সেতু তৈরী হবে সপ্তমুখী নদীর উপরে। ২০১০ সালের শেষের দিকে শীলন্যাস হয় বামফ্রন্টের মন্ত্রীদের দ্বারা। কিছুদিন মধ্যেই সেতু তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। হঠাৎ করে ২০১১ সালেই বামফ্রন্টের পতন, ৩৪ বছর শাসনের অবসান হয়। শাসক দল ক্ষমতা আসার পর সেতু তৈরি ও উদ্বোধন হয়, সেতুর নাম দেওয়া হয় “মিলন সেতু”। ব্রিজের উপরে দুপারে লাগানো হয় সৌরশক্তির আলো, যা ব্রিজ টিকে আলোকিত করে তোলে। তাই নিয়ে এখনও চলছে বিতর্ক, বামফ্রন্টের দাবি তৈরি করেছে বামফ্রন্ট, বর্তমান শাসক দলের দাবি তৈরি করেছে তাদের দল ।
তবে যেই সেতু তৈরি করুক না কেন তৈরীর ৩-৪ বছর পর থেকে এখনো পর্যন্ত সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ঢেকে যায় এই মিলন সেতু, যার ফলে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে চলেছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। এমনকি কয়েক বছর আগে ব্রিজের তলায় মিলেছে রক্তাক্ত মানুষের মৃতদেহ , দু- একবার পরিত্যক্ত বস্তা দেখে মৃতদেহ বলে আতঙ্ক ও ছড়িয়েছে।
তারপরেও প্রশাসনের হুশ ফেরেনি বেশ কয়েক বছর আগে ব্রীজের উপরে থাকা বেশ কয়েকটি সৌরশক্তি আলো অকেজো হয়ে যায়, যার ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ খুটি গুলো এখনো পর্যন্ত কেউ দাঁড়িয়ে কেউ শুয়ে রয়েছে ব্রিজের উপর যেখানে সেখানে। বেশ কিছু মানুষের দাবি দুষ্কৃতীরা এই বিদ্যুতের ব্যাটারি কিংবা সোলার প্লেট চুরি করে নিয়ে গেছে, আবার কারো কারো দাবি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাইট- ইসলাম খান সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য
তারপর থেকেই ব্রিজ অন্ধকার, তার উপরে “গোদের উপর বিষফোঁড়া” ব্রিজের উপরের চাতালে যেখানে সেখানে গর্ত ও ফাটল তৈরি হয়েছে। সমস্যায় পড়ছে নিত্য গাড়িচালক এবং যাত্রীরা। তবে একটি আশার আলো বর্তমানে পাথর প্রতিমা থানার পাথর পক্ষ থেকে সন্ধ্যার পরে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতেও মন ভরছে না আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর ।
তবে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকের দাবি ব্রিজের উপরে বসুক বৈদ্যুতিক আলো মিলন সেতু দিয়ে পাড়াপাড় হোক নিরাপদে।
Discussion about this post