গত বছরের ৫ই অগাস্টের পর থেকে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অশান্ত। তারমধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম থেকে নিবন্ধন, বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা থেমে নেই। দেশকে বাঁচাতে ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এমনকি মনে করা হচ্ছে, ভারতের সাহায্য নিয়েই ইউনূসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেবেন খুব শীঘ্রই। কারণ আজও বাংলাদেশের বহু মানুষের শেষ ভরসা আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে কি সত্যিই ফের যুদ্ধে উত্তাল হবে বাংলাদেশ? সামলাতে পারবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস?
ভারতে যে সমস্ত শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব রয়েছে, তারা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা গণমাধ্যম.. যেখানেই যা বলছেন, সেটাই ভাইরাল হয় যাচ্ছে। শেখ হাসিনা টেলিফোনে কার সঙ্গে কথা বলছেন, সেটা নিয়ে মানুষ নানাভাবে মাতামাতি করছে। বহুদিন পর গণমাধ্যম সূত্রে দেখা গিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরকে। তিনি ভারত ও একটি কানাডার সংবাদ মাধ্যমে বেশ কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। যা ঘিরে বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে হইচই। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তিনিও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে আসছেন। তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা হিসাবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু আদতে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না কোনওদিন। বরং তিনি বরাবর মন্ত্রী অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আসাদুজ্জামান খান কামালকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে চাইছেন? এছাড়াও তিনি যে বক্তব্যগুলি রেখেছেন, সেগুলি শুনেও অনেকে আলোচনা করছেন। কারণ তিনি যখন আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সামলেছেন, তখন তিনি কোনওভাবেই এত বক্তব্য, মন্তব্য রাখতেন না। ফলে এখন বোঝাই যাচ্ছে, তাকে কেন্দ্র করে কিছু একটা ঘটছে। তিনি বলছেন, বাংলাদশে এখন যা চলছে, তাতে দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশের মানুষের জন্য তিনি যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। এছাড়াও আগে জানা গিয়েছিল, তিনি কলকাতাতে রয়েছেন। এখন বিভিন্নভাবে জানা গিয়েছে, তিনি নাকি বাংলাদেশে রয়েছেন বা আসছেন…..এমন একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে। তবে তার মুখে যুদ্ধের কথা শুনে প্রশ্ন তুলছেন, ফের কি দিল্লি অর্থাৎ ভারতের সাহায্য নিয়ে যুদ্ধ করবে শেখ হাসিনার দল? সেই কারণেই হাসিনার আমলের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী এত হুঙ্কার, হুসারি দিচ্ছেন? আশঙ্কায় ভিত সন্ত্রস্ত ইউনুসপন্থীরা। এর কারণ এমনিতেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদশের অন্দরে তুমুল সরগরম পরিস্থিতি। বিএনপি ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে ডিসেম্বরে নির্বাচন করানোকে কেন্দ্র করে। এদিকে নাছোড়বান্দা মোহম্মদ ইউনূস। তিনি বছর ঘোরাতে চান। ছাত্রনেতাদের কথা শুনে, আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন করাতে চান তিনি। এদিকে বিএনপি হুমকি দিয়েছে, শেখ হাসিনার বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশে আরও বড় কর্মসূচি গ্রহণ করবে তারা। তার উপর শেখ হাসিনার বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রীরা যুদ্ধের কথা বলছেন। আদতে কি হতে চলেছে বাংলাদেশে, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।
Discussion about this post