প্রতিটা নারীর ঋতুস্রাব ২৮ দিন পর পর হয়। ঋতুস্রাব মেয়েদের একটি স্বাভাবিক শারীবৃত্তীয় ক্রিয়া। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি অনিয়মিত হয়। ২১ – ৩৫ দিনের ব্যবধানে মাসিক হলে সেটিও নিয়মিত মাসিকচক্র হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।২১ দিনের আগে বা ৩৫ দিনের পরে হলে এবং তা যদি ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তখন তাকে অনিয়মিত ঋতুচক্র হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।অনেক কারণে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।
1.অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া।
2.দীর্ঘদিন থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে।
3.কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই মাত্রাতিরিক্ত শরীর চর্চা করা।
4.মাত্রাতিরিক্ত হতাশা এবং মানসিক চাপ।
5.অতিরিক্ত ওজন কমে গেলে বা রোগা হয়ে গেলে।
6.জরায়ুতে টিউমার পরিলক্ষিত হলে।
7.জনন নিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার।
8.পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম।
9.ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে।
10.যেসব মায়েরা দীর্ঘদিন ধরে সন্তানকে স্তনদুগ্ধ পান করান সেক্ষেত্রে।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব হলে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন-
1.সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
2.মানসিক অশান্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
3.একমাস রক্তপাত বেশি ও অন্যমাসে কম রক্তপাত হওয়া।
4. হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। শরীরে একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত লোম ও মুখে ব্রণ হতে পারে।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব কি কি করণীয়-
1.জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা।
2.পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।বিশেষ করে শাক সবজি, সহজপাচ্য খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
3.ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
4.সহজ, স্বাভাবিক, সুস্থ জীবনযাপন।
5.শরীরের স্বাভবিক ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
6.বেশি করে আয়রন জাতীয় খাদ্য গ্রহণে অভ্যাস তৈরি করা।
7.মানসিক ভাবে হালকা থাকা, মানসিক চাপ কম নেওয়া, বেশির ভাগ সময় প্রফুল্ল মনে থাকা।
8.গর্ভনিরধক পিল ব্যবহার না করা।
Discussion about this post