পেশিবহুল সুঠাম চেহারা পেতে অনেকেই প্রোটিন পাউডার খান। বিশেষ করে বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে আমরা বেশিরভাগ সময় প্রোটিন পাউডার কিনে থাকি । কোনো পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই আমরা দিনের পর দিন সেটি সেবন করে থাকি, ফলে আমাদের বিভিন্ন রকম শারিরীক সমস্যার মুখে পড়তে হয়।আমরা অজান্তেই আমাদের শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে থাকি।
প্রতিটা মানুষের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা বিভিন্ন রকম। বয়স, তার কার্যক্ষমতা, প্রফেশনের রকম ভেদ, উচ্চতা, ওজন প্রভৃতির ভিত্তিতে আলাদা আলাদা চাহিদা হয়। কারও জনন যদি ৫০ কেজি হয় তবে তার প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা ৪৫ থেকে ৫০ কেজি হবে। তবে যে মানুষটি অনেক দৈহিক পরিশ্রম করেন, যার ক্যালোরি বেশি বার্ন হয় তার ক্ষেত্রে প্রোটিনের চাহিদা আরো বেশি। তাই সঠিক খাবার তালিকার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দৈনিক প্রয়োজনীয় প্রোটিনের পরিমাণ মেটানো সম্ভব। এই ধরনের বাজারজাত , বাক্সবন্দী, পাউডার প্রোটিন আমাদের শরীরে নানান রকম সমস্যার সৃষ্টি করে, জেনে নিন সেগুলি সম্পর্কে।
অনেকে ওজন বাড়ানো এবং দ্রুত সুঠাম পেশি গোধনের জন্য সাথে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য এই ধরনের প্রোটিন পাইডার খেয়ে থাকেন। এই ধরনের প্রোটিন পাউডারে স্টেরয়েড জাতীয় উপাদান থাকে। যা আমাদেরকে দ্রুত স্থূল বা মোটা করে দেয়। প্রোটিন হজম করতে জলের প্রয়োজন হয়। ফলে এই জাতীয় প্রোটিন পাউডার বেশি করে খেলে আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। এই ধরনের প্রোটিন সেবন আমাদের কিডনি ও লিভারের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। কারণ কৃত্রিম পাউডার প্রোটিন দীর্ঘদিন ধরে খেলে আমাদের কিডনি, লিভারে চাপ পড়তে পারে।
এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যকেও বিগড়ে দিতে পারে প্রোটিন পাউডার । এছাড়াও ক্ষুধামান্দ্য, ডায়ারিয়া, বমি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও বাতের সমস্যা, জয়েন্টের সমস্যা এবং হাড়ের দুর্বলতা ও ক্যালশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই এই ধরনের প্রোটিন পাউডার খেতে হলে প্রথমেই আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেহেতু আমরা খাবার থেকে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সম্পূর্ন প্রোটিন গ্রহণ করতে পারিনা তাই পাউডার হিসাবেও গ্রহণ করা যেতে পারে প্রোটিন। যা সময়কে বাঁচাবে এবং শরীরে প্রোটিনের ভারসাম্যও ঠিক রাখবে। তাই ডাক্তার কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতন স্বাস্থ্যকর প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করা দরকার।
Discussion about this post