শরীরে জলশুণ্যতা দেখা দিলে ডাক্তারি ভাষায় তাকে ডিহাইড্রেশন বলে। অনেক সময় কম জল খেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এই তীব্র গরমে তৃষ্ণা মেটাতে আমরা ডাবের জল, আখের রস, ঠাণ্ডা ফলের রস এবং শরবতের উপর ভরসা রাখি।তবে গরমে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়, ঘামের ফলে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় জল বেরিয়ে যায়।ফলে শরীরে জলের ঘাটতি ঘটে। আর এর ফলেই আমাদের ডিহাইড্রেশন, অর্থাৎ জলশুণ্যতা দেখা দেয়।বিশেষ কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে আমরা বুঝে যেতে পারি, আমাদের শরীরে জলের অভাব দেখা দিচ্ছে।
মাথাব্যাথা
শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে মাথা ব্যথার মত সমস্যার তৈরি হতে পারে। মাথাব্যাথা ডি -হাইড্রেশনের অন্যতম কারণ। প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে জল বেরিয়ে গেলে তা মাইগ্রেনেরে সমস্যার মতন একাধিক সমস্যা ঘটাতে পারে। তাই মাথাব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশি করে জলপান করা জরুরি।
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
ডি-হাইড্রেশনের ফলে আমাদের ত্বকের আদ্রতা কমতে থাকে। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, ঠোঁট ফাটতে থাকে, ত্বক শুষ্ক ও কুচকে যায়। ফলে বেশি করে জলপান করা উচিত।ত্বকের জন্য সব থেকে উপকারী পানীয় হলো জল।শরীরের প্রয়োজন মতন জল পান করলে, আমরা ভিতর থেকে সুস্থ থাকি।ত্বকের আর্দ্রতা ও তারুণ্যতা দুইই বজায় থাকে।
হতে পায়ে টান ধরা
শরীরে জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশনের ফলে আমাদের ত্বকে টান ধরে।ফলে হাটতে গেলে কিংবা দৌড়াতে গেলে একটা টান অনুভব হয়।তাছাড়া আমাদের শরীরের মাংসপেশিতে জলের প্রয়োজন হয়।শরীরে জলের ঘাটতির ফলে সেই প্রয়োজনীয় জল মাংসপেশিতে পৌঁছায়না ফলে নানান রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিদিন আমাদের অল্প অল্প করে জল খাওয়ার পরিমান বাড়াতে হবে।
প্রস্রাবের রং হলুদ
শরীরে জলের ঘাটতি বা ডি-হাইড্রেশনের ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে আমাদের পস্রাবের পরিমাণ কমতে থাকে। পস্রাবের রং ধীরে ধীরে হলুদ হতে শুরু করে। যদি দীর্ঘদিন ধরে পস্রাব হলুদ হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ডি-হাইড্রেশণের স্বীকার হয়েছেন। ফলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। না হলে পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক
ডায়াবেটিস হলে যেমন আমাদের মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়ে! ঠিক তেমনি শরীরে জলের স্বল্পতা হলেও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। ডিহাইড্রেশনের সময় নোনতা খাবার, মিষ্টি, চকলেট খোয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এছাড়া আমাদের লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে যা আমাদের শক্তি যোগায়। ডি-হাইড্রেশনের সময় আমাদের শরীরে শক্তি অভাব ঘটতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে বেশি করে জলপান করা প্রয়োজন।
Discussion about this post