কোলাঘাটের অফিসে তল্লাশির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা। পুলিশকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অন্তত এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত এই ধরনের তল্লাশি করা থেকে বিরত করার আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বক্তব্য এই তল্লাশির সঙ্গে বিরোধী দলনেতার কোনও যোগ নেই। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, যে এফআইয়ার দায়ের হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুন পর্যন্ত মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। এফআইআর নিয়ে যদি জরুরি ভিত্তিতে কিছু করার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। ১০ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, পুলিশি অভিযানকে কেন্দ্র করে এবার শোরগোল। তার জেরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ, কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পুলিশ তল্লাশির অভিযানের নামে দুজনকে হেনস্থা করছে। মঙ্গলবার রাতে কোলাঘাটে শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। একইভাবে হিরণের আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশের দল যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে কেশপুর থেকে সরাসরি কোলাঘাট থানায় যান বিরোধী দলনেতা। ‘অস্ত্র, মাদক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল’, পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি। হিরণের মতো তিনিও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ তালেন। এর প্রতিবাদেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু ও হিরণ।
তাঁদের দাবি, কোনও তথ্য ছাড়াই পুলিশ তল্লাশি চালায়। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আজ সেই মামলার শুনানি হল। প্রসঙ্গত, বিজেপির আরও দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। খড়গপুরে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদিকে, শুভেন্দু গোটা বিষয়টি অমিত শাহকে জানিয়েছেন। তল্লাশির সিসিটিভি ফুটেজ কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post