চেন্নাইতে অনেক বাংলার দর্শক গেছেন ফাইনাল খেলা দেখার জন্য। শুক্রবার অনুশীলন করেনি কেকেআর দল। কিন্তু টিম হোটেলে চলে জোরে বোলারদের নিয়ে বিশেষ ভিডিও বিশ্লেষণ । ছিলেন মিচেল স্টার্ক,বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানারা । বোলিং কোচ বি অরুণ ছিলেন। ছিলেননা মেন্টর গৌতম গম্ভীর। ভোট দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন। তিনি শনিবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ।ফাইনালের শেষ দিকে ওভারগুলিতে যাতে বাড়তি রান না ওঠে তা নিয়ে সতর্ক দল । নাইট সূত্রে জানা গেল ওয়াইড ইয়ার্কার এবং মন্থর গতির বাউন্সার কিভাবে আরও ধারালো করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। ভিডিও দেখিয়ে বোঝানো হয়েছে কোন জায়গায় বল খেললে সমস্যায় পরবেন ব্যাটসম্যানরা । হর্ষিত ও বৈভবের হাতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে ।কিন্তু শেষ দিকের ওভারে স্টার্ককে খুব বেশি ব্যবহার করা যায়নি ।কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাওয়ার প্লেতে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন স্টার্ক। কিন্তু ফাইনালে যদি তেমন না হয় সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই। আগে থেকেই সতর্ক নাইট শিবির।
২০১২ সালে এই মাঠেই প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় নাইটরা। আবার এই মাঠে ইতিহাস গড়ার হাতছানি কিন্তু চেন্নাই শহরে নিয়ে মাত্রা ছাড়া উন্মাদনা কোথায় ? স্টেডিয়ামের বাইরে রয়েছে ধোনি স্পোর্টস নামে দোকান ।দোকানের মালিক সৈয়দ শাহবাজ ধোনির ভক্ত। তার দোকানে এখনো সিএসকের জার্সি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বলছিলেন ,প্লে অফ এ চেন্নাই না ওঠার জার্সি বিক্রি কমেছে তবুও ধোনির জার্সি বিক্রি বেশি। আইপিএল থেকে ধোনি অবসর নিলে কি হবে জানিনা হয়তো বিক্রিও কমবে। চেন্নাই ফাইনালে না উঠলেও ধোনি জ্বর এখনো কমেনি। এরকম অবস্থায় রোববার চেন্নাই স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে কেকেআর এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কেকেআর কি পারবে ইতিহাস রচনা করতে? অপেক্ষা করতে হবে আর কয়েক ঘন্টা।
Discussion about this post