যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ এবং রবীচন্দ্রন আশ্বিন এই তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। যখন হেনরি ক্লাসেন একা লড়ে যাচ্ছেন তখন তাকে সঙ্গ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১৮ রান করে হায়দ্রাবাদকে ফাইনালে উঠাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাহবাজ আহমেদ। তার এই অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্যই’ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ‘হন আইপিএলের কোয়ালিফায়ার টু এর ম্যাচে। এবছর আইপিএলে ২০৭ রান করা হয়ে গেছে তার। এ বছরই আইপিএলে একটি ম্যাচে ৫৯ রানের নট আউট ছিলেন যদিও সেই ম্যাচ জিততে পারনি তার দল । এ বছর ইতিমধ্যেই ছটি উইকেট পেয়েছেন। যদিও সব ম্যাচে তাকে বল করানো হয়নি কেকেআর বিরুদ্ধে এক ওভারও বল করানো হয়নি তাকে দিয়ে। ২০২০ সাল থেকে আইপিএল খেলছে শাহাবাজ । বেস প্রাইস কুড়ি লাখ টাকায় তাকে কিনেছিল বেঙ্গালুরু। চার মরশুম ব্যাঙ্গালুরুতে কাটানোর পর ২. ৪০ কোটি টাকায় তাকে কেনে হায়দ্রাবাদ ।
২০২২ সালে আহত ওয়াশিংটন সুন্দরের বদলে শাহবাজকে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল । এ পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনটি উইকেট পেয়েছেন তিনটি ম্যাচ খেলে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২টি উইকেট পেয়েছেন। এই পাঁচটি ম্যাচের কোন ম্যাচেই তিনি ব্যাট করার সুযোগ পাননি । ২০১৮ সাল থেকে তিনি বাংলার হয়ে অংশগ্রহণ করলেও, আসলে তিনি একজন হরিয়ানার খেলোয়াড়। বাংলা দলের নির্ভরযোগ্য বাঁ হাতি স্পিনার এবং ব্যাটসম্যান পাঁচবার আইপিএল খেললে ও সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তবে সঠিক সময় জ্বলে উঠে তিনি হায়দ্রাবাদকে ফাইনালে তুলেছেন। সামনে ফাইনালে কেকেআর। এই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারলে শাহাবাজের জন্য সামনে অনেক ভালো দিন অপেক্ষা করছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে রবীন্দ্র জাদেজা ,অক্ষর প্যাটেলের পর ভালো স্পিনার অলরাউন্ডারের অভাব স্পষ্ট। শাহবাজ ভালো ব্যাট করেন, বড় শট মারতে জানেন। বাঁ হাতি স্পিনার হিসাবে তিনি যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিবান । তাই তাকে নিয়ে আগামী দিনের স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে । সৌরভ, ঋদ্ধিমানের পর শাহবাজ যদি ভারতীয় দলের স্থান পায়, তবে আমরা একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান এবং স্পিনারের খেলা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকবো। বেস্ট অফ লাক শাহবাজ আহমেদ।।
Discussion about this post