শনিবার রাত থেকেই উপকূল এলাকায় হালকা ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বড় বিপদ এড়াতে সতর্ক রেল। শনিবার রাত থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল পূর্ব রেল। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছেন রেলকর্তারা। ফলে ‘রেমাল’ এর দাপটে ধাক্কা খেল ট্রেন পরিষেবা।‘রেমাল’ আছড়ে পড়তেই তার প্রভাবে ঝোড়া হাওয়া, বৃষ্টির জেরে হাওড়া ও শাখায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল। রবিবার হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় মোট ৯ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। বাতিল একজোড়া হাওড়া-সিঙ্গুর লোকাল।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা ও হাসনাবাদ শাখায় রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত একাধিক ট্রেন বাতিল ছিল। পরে সেই সময়টা বেড়ে শিয়ালদা দক্ষিণ বিভাগে সকাল ন’টা পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বাতিল থাকে। এখনো পর্যন্ত শিয়ালদা হাসনাবাদ লাইনের তিন জোড়া ট্রেন বাতিল। রবিবার শিয়ালদহ থেকে নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, বজবজের একজোড়া করে ট্রেন বাতিল ছিল। সোমবার নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, বজবজ ছাড়াও সোনারপুর, বারুইপুর শাখায় আপ ও ডাউনে বাতিল মোট ১৬ জোড়া ট্রেন।
এদিকে কলকাতা বিমানবন্দরেও জারি ‘রেমাল’ সতর্কতা। রেমালের দাপটে টানা ২১ ঘণ্টা দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ। রেমালের দাপটে টানা ২১ ঘণ্টা দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ। রবিবার ২৬ মে দুপুর ১২টা থেকে সোমবার, ২৭ মে সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্ত বিমানের অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ৩৯৪ টি বিমান বাতিল হয়েছ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে কলকাতা এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার বেলা গড়াতেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরেছে বিমান পরিষেবা। উল্লেখ্য, আবহাওয়ার দুর্যোগের জন্য এত দীর্ঘসময় বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার নজির কলকাতা বিমানবন্দরে সাম্প্রতিককালে নেই।
Discussion about this post