নিউইয়র্কে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া ।টিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়া। দ্বিতীয় ব্যাচে নিউইয়র্কে পৌঁছে গিয়েছে সঞ্জু স্যামসাং, যশস্বী জয়সওয়াল ও যজুবেন্দ্র চাহাল। নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টিমের প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১লা জুন । ভারতের টিম কম্বিনেশন কেমন হতে চলেছে ,সেই দিনই ইঙ্গিত মিলবে । আইপিএলে ওপেন করে বিরাট কোহলি নিয়মিত রান করেছেন । অনেকের মতে টিমের প্রয়োজনে বিরাট কোহলি ওপেন করানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোহিত, যশোস্বী জুটি ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকছে। টিম ম্যানেজমেন্ট সেই রাস্তায় যাবে কিনা বাংলাদেশ ম্যাচে বোঝা যেতে পারে ।নাসাউ কাউন্টিতে ড্রপ ইন উইকেট ,তার চরিত্র কেমন হবে তা নিয়ে ধারণা নেই কোনও টিমেরই ।
প্র্যাকটিস না করলে তা বোঝাও যাবে না। তবে যেটুকু ইঙ্গিত মিলেছে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে তিন নম্বরেই বিরাটে যাওয়ার সম্ভাবনা। কারণ ওপেনার রোহিতকে তিনে নামানো হলে টিমের ছন্দে বদল আনতে হবে সেটা দ্রাবিড় করতে চাইবেন বলে মনে হয় না । চারে সূর্য কুমার যাদব। পাঁচ ঋষভ, ছয়ে হার্দিক সাতে জাদেজা । বাকি চারটে জায়গার মধ্যে বোলার হিসেবে বুমরা নিশ্চিত।উইকেট পেস উপযোগী হলে সিরাজ আর অর্শদীপ খেলবেন । জাদেজার পরে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে থাকবেন কুলদীপ। চাহালকে বোসতে হবে। একজন পেসারকে বসালে চাহলের জায়গা হতে পারে। কোন সন্দেহ নেই অলরাউন্ডার হিসাবে হার্দিক, জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের ভূমিকা এই বিশ্বকাপে খুব জরুরী হতে যাচ্ছে। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে এটা বিদায়ী টুর্নামেন্ট।
গত বছর টিম টানা ১০ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তারপরে দ্রাবিড়কে অনুরোধ করে বোর্ড রেখে দিয়েছিল জুন পর্যন্ত। এখন পরিষ্কার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে আর টিম ইন্ডিয়ার কোচ থাকছেন না রাহুল । তিনি নতুন করে আবেদন করবেন না। ফলে এই টুর্নামেন্টের পর নিযুক্ত হবে নতুন কোচ ।সেই দিক দিয়ে দেখলে রাহুলকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর এটাই শেষ সুযোগ রোহিতদের। দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। অতীতে সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হারের নজির আছে। ১১ বছর কোন আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতেনি ভারত। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রোহিত, বিরাটদের থাকা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে।।
Discussion about this post