মদ্যপানের মতন শরীরে ক্ষতি করতে পারে আপেলের রস। মদ্যপানের ফলে আমাদের শরীরে যেমন ক্ষতি হয় প্যাকেটজাত আপেল রস নিয়মিত খেলে তেমনই ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই মদ্যপান করেন না, তার বদলে প্যাকেটজাত আপেলের রস খান। নিয়মিত আপেলের রস খেয়ে গোপনে শরীরের ক্ষতি করছেন নাতো ? অনেক সময় আমরা বাড়ির বড়োরা বাচ্চাদেরকে আপেলের রস খাওয়াই। এর ফলে ধীরে ধীরে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় তারা। মদের মতোই ক্ষতি করে আপেলের। হেলথ ড্রিঙ্কস গুলো বরাবরই আমাদের শরীরের ক্ষতি করে।
পুষ্টিবিদরা হেলথ ড্রিঙ্কস পান থেকে দূরে থাকতে বলেন। বাজার চালিত হেলথ ড্রিঙ্কস গুলোতে মাত্রাতিরিক্ত চিনি থাকে যা প্রত্যেক বয়সী ব্যাক্তিকে ক্ষতি করে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসের রোগী। ডায়াবেটিসের রোগীদের কোনো রকম নরম পানীয় খাওয়া বিশেষ ভাবে নিষিদ্ধ। তাছাড়া শিশুদেরকে ভীষন ভাবে ক্ষতি করতে পারে এই ড্রিঙ্কস গুলি। আপেলের রস তার মধ্যে অন্যতম। অ্যালকোহলে ঠিক যতটা মাত্রা চিনি থাকে আপেলের রসে সমপরিমাণ চিনি থাকে।
পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব শিশুর বয়স দু বছরের নিচে তাদের খাদ্য তালিকায় চিনি জাতীয় খাবার রাখা উচিত নয়। তাছাড়া প্রত্যেক বয়সী মানুষের পক্ষে চিনি বা সুগার জাতীয় খাবার বিশেষ ক্ষতিকারক। প্রথমত, চিনি আমাদের ওজন বাড়ায়। দ্বিতীয়ত, আমাদের এনার্জি ক্ষয় করে, বেশি সুগার জাতীয় খাবার খেয়ে নিলে আমাদের ঘুম পায়, কর্মক্ষমতা কমতে থাকে।
তাছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। অল্প বয়সে স্কিনে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, স্কিনের ক্ষেত্রেও বেশি চিনি জাতীয় খাবার ক্ষতিকারক। তাছাড়া বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। পরবর্তী কালে যা ‘বিঞ্জ ইটিং’- র কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাজার চালিত হেলথ ড্রিঙ্কস গুলোতে শুধু যে সুগারের পরিমান বেশি থাকে তা নয়, ক্যালোরির পরিমাণও খুব বেশি থাকে। যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে এইসব হেলথ ড্রিঙ্কস গুলি পান করার ফলে শিশুদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
Discussion about this post