প্লাস্টিক সার্জারি করে সুন্দর হওয়ার রীতি এখন সচারাচর দেখা যায়। বিশেষ করে তারকাদের মধ্যে এই প্রচলন খুব বেশি। এখন সমাজ মাধ্যমে প্রায়ই খবরে আসে বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা কৃত্রিম ভাবে প্লস্টিক সার্জারির মাধ্যমে সুন্দর হয়েছেন। দেশ হোক কিংবা বিদেশ, বিভিন্ন সময় প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে তারকাদের মুখের আদল একেবারে বদলে গিয়েছে।
কখনো ‘নোজ সার্জারি’ আবার কখনো ‘লিপ সার্জারি’-র বিশেষ জনপ্রিয়তা আছে। লিপ সার্জারি করে কখনো ঠোঁট বড়ো কখনো নাক টিকালো, কখনো মুখের মেদ কমিয়ে, মুখ চিকন করতে দেখা যায়। কিন্তু কৃত্রিম সৌন্দর্য প্রকাশ করার প্রবণতা শুধু মাত্র তারকাদের মধ্যে আছে তা নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৃত্রিম ভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশকে সুন্দর করে তোলার বিশেষ চাহিদা আছে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে আশ্চর্য করার মতন একটি ঘটনা ঘোরাফেরা করছে।
কার্যত, একটি পোস্ট নিয়ে নেটমাধ্যমে হইচই পড়ে গেছে। সেখানে এক ব্যক্তির দুটি ছবি পাশাপাশি। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ অনেকটাই বয়স, মাথায় চুল নেই, গাল ভর্তি মেদ। পাশে রাখা অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মাথা ভর্তি চুল, চিকন মেদহীন গাল, বয়স একদমই কম। সেই ব্যক্তিকে একদমই চেনা যাচ্ছে না। সার্জারির আগে তিনি কতটা বয়স্ক মুখের অধিকারী ছিলেন এবং সার্জারি পর ৩০-এর কম বয়সী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন।
যদিও এই পোস্টটি সমাজমধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই মন্তব্য করছেন যে এটা হতে পারেনা। এটা সত্য নয়, প্লাস্টিক সার্জারি করে এতটাও বদল আনা যায় না। অনেকে এও মন্তব্য করছেন যে, দেখে মনে হচ্ছে অন্য কারুর মাথা কেটে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অবিশ্বাস্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে ভাইরাল পোস্টে।
সমাজমাধ্যমে তুরস্কের একদল মেডিকেল গ্রুপ দাবি করছেন তারা ‘নোজ সার্জারি’ চুল প্রতিস্থাপন, ফেসলিফ্ট অস্ত্রপ্রচার ও চোখে পাতার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই ব্যক্তির সম্পূর্ন বয়স কমাতে পেরেছেন। যার ফলে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে ব্যক্তিটিকে একদম চেনেই যাচ্ছেনা, মনে হচ্ছে ছবির উপর কারসাজি করা হয়েছে।
তুরস্কের একদল মেডিকেল গ্রুপ আরও দাবি করেন, তারা কৃত্রিম ভাবে যেকোনো ব্যক্তির বয়স কমিয়ে তাকে ৩০ বছর বয়সী তরুণে পরিণত করতে পারেন। যা নিয়ে নেটমাধ্যমে কার্যত হইচই শুরু হয়ে গেছে।
Discussion about this post