২০১৪ সালে এই আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে সৌমিত্র জিতেছিলেন প্রায় দেড় লাখ ভোটে। আর ২০১৯ সালে জয়ের ব্যবধান ছিল ৭৮ হাজারের মতো। তবে সৌমিত্রের সেই জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সুজাতার। সে বার আইনি জটিলতায় সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে ঢুকতেই পারেননি। গোটা লোকসভা এলাকা চষে ফেলেছিলেন সহধর্মিনী সুজাতা। শেষ পর্যন্ত বিষ্ণুপুরে জেতে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খান। তাঁর জয়ে প্রাক্তন স্ত্রীর ভূমিকার কৃতিত্ব দিয়েছিলেন সৌমিত্র।
সম্প্রতি, বেসরকারি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র এনেছেন সেটিংয়ের তত্ত্ব। তিনি বলেছেন, “রাজ্যে যে ফল হয়েছে তা অসম্ভব। এমন ফল হওয়ার কথা ছিল না। অঞ্চল স্তর থেকে জেলা, জেলা থেকে রাজ্যস্তরে বিজেপির একটা অংশের সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হয়েছে। যার কারণে বেশ কয়েকটি জেতা আসনও আমরা হেরে গিয়েছি। আরামবাগ আসনে আমাদের হারার কথাই ছিল না।
বিজেপির আরও তিন থেকে চারটে সিট বাড়ত। বিজেপি নেতাদের অহংকার ত্যাগ করতে হবে। অযোগ্যদের বসালে যা হওয়ার তাই হয়। আজ সংঘ পরিবার ছিল বলেই বাংলায় এই ভোটটা পেয়েছে। আরএসএস না থাকলে ভোটের শতাংশ ৩০% এর নিচে নেমে যেত। দিল্লির নেতারা সাহায্য না করলে বাংলায় একটাও আসন পেত না বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও তৃণমূলের সেটিং হয়েছিল।” পাশাপাশি এদিন সৌমিত্র অভিষেকের প্রশংসা করে বলেন, “অভিষেক ভাল কাজ করেছেন তাই তৃণমূল জিতেছে”।
Discussion about this post