ভারত এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারবে কিনা ,তা নিয়ে সকলের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এখান দেখে নেওয়া যাক ভারতের কেমন অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি আইপিএলে একটা সেঞ্চুরি ও পাঁচটা হাফ সেঞ্চুরি সহ ৭৪১ করেছেন বিরাট কোহলি। আইপিএল কাপ জিততে না পারলেও সেরা ব্যাটসম্যানের অরেঞ্জ ক্যাপ এবার রয়েছে তার দখলে। বিশ্বকাপের মঞ্চে বিরাট কোহলির ব্যাটিং এবং চিতা বাঘের মতো ফিল্ডিং অবশ্যই ভারতের প্রধান সম্পদ। সেই ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছেন রোহিত। চলতি আইপিএলে একটা সেঞ্চুরি একটা হাফ সেঞ্চুরিসহ ১৪ টা ম্যাচই মাত্র ৪১৭ রান করা রোহিত শর্মা বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তবে দেশের জার্সিতে আমরা অন্য রোহিতকে দেখতে পাবো বলেই আশা রাখি। যশস্বী জয়সওয়ালের এটা প্রথম বিশ্বকাপ। কাজেই নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া থাকবেন তিনি।
১৬ ম্যাচে ৪৬৫ রান তোলা যশস্বী আইপিএলে একটা সেঞ্চুরি একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন করেছেন। এরপর টি-টোয়েন্টির বিচারে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদব। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব একটা সফল হননি ।এবার আইপিএলেও খুব ভালো ফর্মে ছিলেন না। দেখা যাক এ বছর তিনি ভারতের ৪ নম্বর জায়গাটিতে কতটা নির্ভরতা দিতে পারেন। মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে ফিরে দু’বছর পর সরাসরি আইপিএলে খেলতে আসেন ঋষভ পন্থ। ওটা ম্যাচ খেলে ৪৪১ রান করেছেন। ঋষভের ব্যাটিং নিয়ে কিছু বলার নেই এবং একই সঙ্গে দুর্ধর্ষ উইকেট কিপিং করেছেন ।এবার বিশ্বকাপে ভারতের সেরা চমক হতে চলেছেন ঋষভ পন্থ।পন্থে বিকল্প হিসেবে কিন্তু যথেষ্ট তৈরি রয়েছেন সঞ্জু স্যামসাং । চলতি আইপিএলে কিন্তু দলকে নেতৃত্ব দিয়ে কোয়ালিফায় নিয়ে তো গেছেনই দুর্দান্ত কিপিং করেছেন এবং ১৬ ম্যাচে ৫৩১ রান করে দলকে ভরসা যুগিয়েছেন।
চেন্নাই সুপার কিংস এর তারকা বিশ্বকাপ দল গঠনের আগে দুর্দান্ত ব্যাট করেছিলেন আইপিএলে। কিন্তু দল ঘোষণা হওয়ার পরেই তার ফর্ম পড়তে শুরু করে। শিবম একজন অলরাউন্ডার। তার উপরে তাই অনেক আশা রয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়ার সময়টা একটু খারাপ যাচ্ছে। মুম্বাই এর ক্যাপ্টেন হিসেবে আইপিএলে তার পারফরম্যান্স খুব ভালো নয় ।ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। আইপিএল এর ১৪ ম্যাচে মাত্র ২১৬ রান করেছেন উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১১ টা অথবা হার্দিক হলেন বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। তবে ভারতীয়দের আশা এই বিশ্বকাপটাই হার্দিকের কামব্যাকের বিশ্বকাপে চলেছে। তবে অলরাউন্ডার হিসেবে যাকে নিয়ে কোন সমস্যা নেই তিনি হলেন রবীন্দ্র জাদেজা। যদিও আইপিএলে তিনি খুব ভালো ফর্মে ছিলেন না। তবুও বিশ্বকাপের মঞ্চে রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাটে বলে সফল হবেন। এটাই সকলের আশা। কারণ অতীতে বহুবার তিনি তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। আরেক স্পিনার অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। আইপিএলে খুব ভালো ফর্মে ছিলেন না। বলের সাথে সাথে তার ব্যাটিংয়ের হাতটা যথেষ্ট ভালো কাজেই দলের স্থান পেলে তিনি হতাশ করবেন না এটুকু বলা যায়।
যজুবেন্দ্র চাহাল গত দুটি বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি। এবার আইপিএলের ১৫টি ম্যাচে তিনি ১৯ টি উইকেট পেয়েছেন। চাহলের টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার প্রতি ভরসা করাই যায়। জশপ্রীত বুমরা স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। আইপিএল একটি ম্যাচে পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন। ১৩ টি ম্যাচে কুড়িটি উইকেট পেয়েছেন। বুমরার বোলিং পৃথিবীর সব দেশের বিরুদ্ধে যে ভারতের বড় অস্ত্র তা বলাই যায় ।তাই ভারতের প্রধান ভরসা যশপ্রীত বুমরা। আরসিবি এটা প্রথম বিশ্বকাপ ১৩ টি ম্যাচে ১৯ টি উইকেট পেয়েছেন আইপিএলে। ভারতের চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব আইপিএলের খুব ভালো খেলেছেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঘোল খাওয়াতে কুলদীপের স্পিন ভারতের অন্যতম সেরা অস্ত্র এটা বলা যায়। আইপিএলে ১৪টি ম্যাচে ১৫ টি উইকেট পেয়েছে মহম্দদ সিরাজ ।প্রচুর রানও দিয়েছেন। তবে বিরাট রোহিতদের হাতে বিশ্বকাপ দেখার আশায় রয়েছে ১৪০ কোটি ভারতীয়।
Discussion about this post