ছেলেবেলা থেকে শুনেছি, লোহার কড়াইয়ে বানানো খাবার খেলে হজমের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে শরীরে আয়রনের চাহিদা মেটে সহজেই। আগেকার দিনে প্রায় বাংলার প্রতিটি ঘরেই লোহার কড়াইতে রান্না করা হত। ডাল থেকে শুরু করা মাছ, মাংস কিংবা যেকোনও তরিতরকারি, খুব সামান্য তেলেই অতি সহজেই রান্না করা যায়। লোহার কড়াইয়ে কষিয়ে করা রান্নার যেমন স্বাদ ঠিক তেমনই তার গন্ধের জুড়ি মেলা ভার। আজও অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলে দেখা যাবে রাঁধুনিরা আমন্ত্রিতদের জন্য রাঁধছেন লোহার বড় বড় কড়াইতে। তবে জানেন কি, স্বাদকে তালিকায় শীর্ষে রাখতে গিয়ে আমরা অজান্তেই বিষ পান করছি না তো? ভাবছেন কেন এমনই বলছি। তাহলে শুনুন।।
লোহার কড়াই বা পাত্রে করা খাবার যেমন স্বাদের তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে গেলে মানতে হবে বেশ কয়েকটি নিয়ম। না মানলেই আমার আপনার অজান্তেই শরীরে খাবারের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করবে বিষ। যার জেরে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও লিভারের সমস্যা বাড়তে থাকে সহজেই। এক ঝলকে দেখে নেব লোহার পাত্র কীভাবে ব্যবহার করলে শরীরে ক্ষতি হবে না।
১. লোহার কড়াই কিংবা যে কোনও পাত্রে কখনওই টক জাতীয় খাবার রাখবেন না। এতে লোহা অ্যাসিডের সঙ্গে মিশে বিক্রিয়া ঘটায়। যা স্বাস্থ্যের সঙ্গে খুবই ক্ষতিকর।
২. লোহার পাত্রে সবজি রান্না করার সময় নজর রাখবেন তা যেন ভুলেও পুড়ে না যায়। তাও কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর।
৩. লোহার পাত্র জল দিয়ে ধোয়ার পর তা অবশ্যই ভালো করে মুছে রাখবেন। পাত্রে জল থাকলে সহজেই জং ধরে যায়। তার উপর রান্না করলেই বিপদ।
৪. মুখোরোচক খাবারের মধ্যে চাউমিন, ডিম, পাস্তা বানানোর সময় তা সহজেই কড়াইয়ের গায়ে আটকে যায়। তাই এই পদগুলোকে কোনওভবেই লোহার পাত্রে রান্না না করাই ভালো।
Discussion about this post