আরও বিপাকে অভিনেতা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। বিধায়ক সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রেস্তরা মালিক। অভিযোগ, আনিসুল এবং তাঁর পরিবার হুমকির মুখে আছে। তাই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা এবং এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চেয়ে আবেদন করে মামলা করার আর্জি রেস্তরা মালিকের। একই সঙ্গে টেকনো সিটি থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার আবেদন জানিয়েছিলেন রেস্তরার মালিক। বিচারপতি অমৃতা সিনহার তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। অভিযোগ, ওই রেস্তোরায় শুটিং করতে গিয়ে গাড়ি রাখা কে কেন্দ্র করে বিধায়কের সঙ্গে বচসা হয় মালিকের। কথাবার্তার মধ্যেই মালিককে চড় থাপ্পর মারেন বিধায়ক। থানায় অভিযোগ জানালেও কোনো পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। শুক্রবার এই মামলার শুনানি।
মামলাকারীর অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁকে লাথি মারেন বিধায়ক সোহম। যদিও সোহমের দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালাগালি করছিলেন রেস্তরার মালিক। সেই কারণে আমিও মেরেছি।” এই ঘটনায় পাল্টা রেস্তোরার মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোহম চক্রবর্তীও।
এই ঘটনার পর পরই নাম না করে এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘জয় নম্র ও বিনয়ী হতে শেখায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সকল নেতা ও সদস্যদের অনুরোধ করছি জনগণ আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন তাতে ভরসা রাখুন ও সেই আস্থাকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মান জানান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের আদেশের কাছে ঋণী এবং তাদের উচিত আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করা।’
পাশাপাশি দেব বলেন, ‘সোহম অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছেলে, আমার বন্ধুও। কিন্তু বন্ধু বলেই যে তার সবটা ভালো, তেমনটা নয়। আমি যেদিনই শুনেছি, সেদিনই ওকে ফোনে যা জানানোর জানিয়েছিলাম। সংবাদমাধ্যমের সামনেও একই মত প্রকাশ করি। আমি মনে করি সোহমের ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং নিয়ম মেনে চলা উচিত।’ এক বেসরকারী সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদন মিত্র জানিয়েছেন, “সোহম ভাল ছেলে, কিন্তু বোকা, ইনটেলিজেন্ট নয়। ইনটেলিজেন্ট হলে এভাবে ফাঁদে পা দিত না।”
এদিকে, সোহমের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। অভিনেতার কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে তাঁর অভিযোগ, ‘ভোটের সময়ে চণ্ডীপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধর করতে সোহম লোক ভাড়া করেছিলেন।’ নিজের ব্যক্তিগত সচিবকে দিয়ে একাধিক অপরাধমূলক কাজ করিয়েছেন বলেও দাবি শঙ্কুদেবের।
Discussion about this post