এক অনন্য নজির নিয়ে আজ লাইপজিগের মাঠে ইউরো কাপের অভিযানে নামছে পর্তুগাল। বিপক্ষে, চেক রিপাবলিক। ইউরোপের বাছাই পর্বে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর টিমের অল উইন রেকর্ড রয়েছে। অর্থাৎ বাছাই পর্বে সব ম্যাচে তারা জিতেছে। ইউরো অভিযানের শুরুর আগে রোনাল্ডোর মন্তব্য,”আমার দেশের এই জেনারেশনের ফুটবলারদের ইউরো কাপ জয়ের স্বাদটা পাওয়া দরকার। আমাদের যা টিম তাতে আমি জোর গলায় বলতে পারি কাপটা আমরাই পাব”। ২০০৪ সালে ইউরো কাপের অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। ৩৯ বছরে এসেও রোনাল্ডোর গোলের খিদে এতটুকুও কমেনি। ইউরো কাপের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে বেশিবার অর্থাৎ ৬ বার খেলতে নামছেন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি গোল অর্থাৎ ১৪টি ও সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট অর্থাৎ ৬টি তার দখলে রয়েছে। পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ বলেছেন,,” ক্রিশ্চিয়ান যতবার জাতীয় শিবিরের যোগ দেয় ততবারই আমি আর আমার সাপোর্টিং স্টাফরা ওর ফিটনেস দেখে অবাক হয়ে যাই। টিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্র্যাকটিস করে সিআর ৭।
ড্রেসিংরুমে ও যেভাবে সতীর্থদের উজ্জীবিত করে তা আমি আর কোন ক্যাপ্টেনকে করতে দেখিনি”। রোনালদোকে নিয়ে আবেগ চেক কোচ ইভান হাসকের। তার কথায় ,”রোনাল্ডোর মতো ফুটবলারদের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়া বড় ব্যাপার। আমি আমার ছেলেদের বলেছি পাঁচ বারের ব্যালন ডি’ওর জয়ীর বিরুদ্ধে ম্যাচটা উপভোগ করো ।তিনি আরো বলেন ,”প্রতিপক্ষ টিমে রোনাল্ডো নামে একজন ফুটবলার থাকলে ম্যাচটা জিকত কঠিন হয়, তা বলার দরকার লাগে না”। পর্তুগাল ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেবার রোনাল্ডো পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে চোট আঘাতে সমস্যায় ভুগেছিলেন। এবার কিন্তু দারুণ ফার্মে সি আর সেভেন ।সৌদি আরবের দিকে আল নাসিরের হয়ে তিনি ৫১ ম্যাচে ৫১ টি গোল করেছেন ।চেক ম্যাচে তার চ্যালেঞ্জার প্যাট্রিক শিক।
গত ইউরোয় তাঁর ৬ গোল ছিল। এবার তিনি দারুণ ফর্মে। বেয়ার লেভারকুশন কে প্রথমবার বুন্দেশলিগা দিয়েছেন ২৮ বছরের এই স্ট্রাইকার ।রোনাল্ডোকে টক্কর দিতে তৈরি তিনি। যোগ্যতা অর্জন পর্বে সারা জাগিয়ে উঠে এসেছে চেক রিপাবলিক। আট ম্যাচের জয় ৪ ড্র ৩ হার ১ ।কোচ হাসেক বলেছেন, “আমি কোচ হওয়ার পর ফুটবলারদের বলে দিয়েছি সব ম্যাচ শুরু হয় ৫০-৫০ সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারলে জয় ছিনিয়ে আনা কঠিন নয় ।পর্তুগাল নাম শুনে ভীত নয় আমার দলের ফুটবলাররা।ভুল সব দল করে সেটা কাজে লাগাতে হবে”,।
Discussion about this post