সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবছরের লোকসভা নির্বাচন। তবে ভোট শেষ হলেও শেষ হচ্ছে না ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি। এবার ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। এখনও পর্যন্ত কতকগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। একটি সংগঠন এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। সেই মামলা দুটি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের ডিজির তরফে ১৪ জুন এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলা আদালতে শুনানির জন্য উঠেছিল। কিন্তু সব পক্ষের কাছে রিপোর্ট না থাকায় শুনানি হয়নি। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আদালত যদি মনে করে যে রাজ্যে আরও কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনও আপত্তি নেই। মঙ্গলবার হাইকোর্টে জানালেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী করা উচিৎ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্দিষ্টভাবে নিজেদের মতামত জানাক কেন্দ্র, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্য সরকারের পেশ করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েই পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে নিজেদের অবস্থান এবং তথ্য আদালতকে জানাবে, নির্দেশ বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এখনো রাজ্যের ৯৫ টি স্কুলে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা মুশকিল বলে এদিন জানিয়েছে রাজ্য।
বাহিনীর জন্য যে ব্যারাক আছে সেখানে এই বাহিনীকে স্থানান্তর করা হোক, সওয়াল মামলাকারীর আইনজীবীর।কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করতে হবে। কারণ শিক্ষা সবার আগে, মন্তব্য বিচারপতি হরিশ টন্ডনের। যেখানে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই সেখান থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা যেতেই পারে। এভাবে দফায় দফায় বাহিনী প্রত্যাহার করা যায, মন্তব্য আদালতের।
Discussion about this post