দুঃসময় যেন পিছনই ছাড়ছে না বিজেপির! লোকসভা ভোটে হুগলি হাতছাড়া হয় গেরুয়া শিবিরের। এবার মহিলা মোর্চার এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব, সমাজ মাধ্যমে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের মোর্চা নেত্রীর। অভিযোগ, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলে, থানা থেকে ওই কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন বিজেপি সভাপতি। যদিও জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। বিজেপি নেত্রী তথা হুগলীর প্রাক্তণ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি তিনি নিজে দেখবেন, দলের মহিলা সুরক্ষা প্রথমে। নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির উচ্চতর নেতৃত্ব।
অন্যদিকে এই আবহেই বুধবারই হুগলির সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন লকেট। বৈঠক শেষে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, “বড় সফলতার বীজ হারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে।” রাজনীতিতে তাঁর ‘জুনিয়র’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হার হয়েছে। কিন্তু দমে যেতে নারাজ হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সংগঠন আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন বৈঠক, বিভিন্ন জায়গায় তাকে এবারে সশরীরে দেখা যাচ্ছে। নারী সম্মানের পক্ষে মুখ খুলছেন তিনি। নির্বাচনের পর লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও তাঁর হারের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। লকেট বলেছিলেন, “মানুষের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি।” প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি অন্তর্ঘাতের কথা বলতে চেয়েছিলেন লকেট? সম্প্রতি দিলীপ ঘোষও নিজের হারের পর ‘কাঠিবাজির’ অভিযোগ তুলেছিলেন। এখন লকেটের গলায়ও শোনা গেল একই সুর। এখন দেখার হুগলীতে বিজেপির অন্দরে ওঠা এই অভিযোগ নিয়ে নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ নেয়।
Discussion about this post